ষোলো বছর আগে চাকরি হারিয়ে হতাশ না হয়েও যে উপার্জন করা যায়, তারই প্রকৃত উদাহরণ দিলেন কেরালার পি শিবা কুমার। বর্তমানে তিনি পাপড় বিক্রি করে মাসে পঞ্চাশ হাজার টাকা উপার্জন করছেন।
কেরালার বাসিন্দা পি শিবা কুমার চাকরি হারাতেই, স্বাভাবিকভাবেই তিনি ভেঙে পড়েন সংসারের হাল ধরার চিন্তায়। তবে তাঁর দুঃসময়ে সাথে ছিল স্ত্রী সন্ধ্যা। তিনি পরামর্শ দেন, কম টাকা ইনভেস্ট করে দুজনে একসাথে কোনো কাজ করার।
সেই সময় দুজনেই পরামর্শ করে পাপড় বিক্রির কথা ভাবেন। কারণ, শিবা কুমারের মা বাড়িতে পাপড় বানাতেন, কাজেই পাপড় বানানোর প্রক্রিয়া জানা ছিল শিবা কুমারের। পাশাপাশি, স্ত্রী সন্ধ্যাও রান্নায় পারদর্শী। কাজেই সময় নষ্ট না করেই তাঁরা তাঁদের নতুন কাজ শুরু করেন, সংবাদমাধ্যমকে একথা বলেন পি শিবা কুমার।
তিনি আরও বলেন, "প্রথমবার যখন আমি আর আমার স্ত্রী পাপড় বানাই, তখন বন্ধু এবং আত্মীয়দের তা খাওয়াই। সবাই খুব প্রশংসা করেছিল। এটাই আমাদেরকে এগিয়ে যেতে আরও সাহায্য করে। এরপরেই ২০০৫ সালে আমরা আমাদের দোকান শুরু করি। যা খুব সামান্য টাকায় শুরু হয়, একেবারে ঘরোয়া উপকরণ দিয়ে।"
তবে বর্তমানে কেরালার এই দম্পতি নানান ফ্লেভারের পাপড় বানিয়ে জনপ্রিয়তা লাভ করেছেন। এ বিষয়ে তিনি বলেন, "প্রথমে আমি নিজে গিয়ে দোকানে দোকানে পাপড় বিক্রি করতাম। পরে স্বল্প পরিচিতি লাভ করে আমাদের ঘরোয়া পাপড়। এখন অনেক সুপার মার্কেট এবং দোকানে আমি পাপড় সাপ্লাই করি। পাপড় তৈরী করা অনেক সহজ। কিন্তু বর্তমানের ব্যস্ত সময়ে সকলের পক্ষে সম্ভব হয়না, বাড়িতে পাপড় বানানোর। তাই আমি ঘরোয়া উপকরণে পাপড় বানিয়ে তাঁদের দি।"
স্ত্রী সন্ধ্যা বলেন, এই সমস্ত পাপড়ের রেসিপি তিনি শিবা কুমারের মায়ের কাছ থেকে পেয়েছে। এই দম্পতি আরও বলেন, তাঁরা কলা, টমেটো, পালং, টমেটো গার্লিক সহ বহু ফ্লেভারের পাপড় তৈরী করেন। এবং ক্রেতারা তা পছন্দও করেন।