যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসের প্রাথমিক স্কুলে বছর ১৮-র আততায়ীর বন্দুক হামলা, ১৮ শিশু-সহ ২১ জন নিহত
বিশ্বজুড়ে শোকের ছায়া, পুলিশের গুলিতে নিহত আততায়ী
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের (USA) টেক্সাসের (Texas) এক প্রাথমিক স্কুলে আততায়ীয় গুলিতে প্রাণ হারালেন একজন শিক্ষক-সহ ১৫ জন শিশু। সেই আততায়ীর গুলিতে আহত হয়েছেন ৬৬ বছর বয়সী এক মহিলা। গুরুতর আহত শিশু-সহ আরও কয়েকজন। আহতদের উভালদে মেমোরিয়াল হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। হাসপাতাল সূত্রে খবর, আহত শিশুদের হাসপাতালে নিয়ে আসার সময় দু'জন অ্যাম্বুল্যান্সেই মারা যান। বেশ কয়েকজনের অবস্থা অতি আশঙ্কাজনক।
টেক্সাসের উভালদে রব প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভেতরে গুলি চালানোর ঘটনাটি ঘটেছে। গুলিতে মারা যাওয়া শিশুদের পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি। টেক্সাসের গভর্নরের রিপোর্ট অনুযায়ী, উদ্ধার অভিযানের সময় নিরাপত্তা বাহিনী বন্দুকধারীকে গুলি করে হত্যা করেছে। টেক্সাসের গভর্নর গ্রেগ অ্যাবট এক টুইট বার্তায় বলেছেন, “টেক্সানরা এই নির্বোধ অপরাধের শিকার। উভালদে সম্প্রদায়ের জন্য শোকাহত। সিসিলিয়া এবং আমি এই ভয়াবহ ক্ষতির জন্য শোক প্রকাশ করছি এবং সমস্ত টেক্সানবাসীকে একত্রিত হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। গোটা ঘটনার টেক্সাস রেঞ্জার্সকে সম্পূর্ণ তদন্ত করতে স্থানীয় আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সঙ্গে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছি।"
স্থানীয় সময় দুপুর ১২.১৫ মিনিটে একজন বন্দুকধারী, যিনি একজন কিশোর বলে সন্দেহ করা হয়েছে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রাঙ্গণে প্রবেশ করে এবং শিক্ষক ও ছাত্রদের উপর এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে থাকে। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, স্কুলের ২১ জন তার মধ্যে ১৮ জন শিশু-শিক্ষার্থী মারা গিয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেমে পুলিশের গুলিতে খতম হয়েছে সেই আততায়ী। ঠিক কী কারণে এই ঘটনা, এখনও স্পষ্ট নয়। পৃথিবীর নৃশংস ঘটনাগুলির মধ্যে একটি বলে উল্লেখ করেছেন একাংশ।
ঘটনার পর হোয়াইট হাউসের তরফে বিশেষ বিবৃতি দেওয়া হয়েছে। প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন পরপর কয়েকটি টুইট করেছেন। যেখানে এই ঘটনার জন্য তিনি দুঃখপ্রকাশ করেছেন। প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাও টুইটে মৃত শিশুদের জন্য শোকপ্রকাশ করেছেন।
উল্লেখ্য, নিউইয়র্কের বাফেলোতে প্রায় ১২ জন লোককে গুলি করে হত্যা করার মাত্র ১০ দিন পরে এই বীভৎস ঘটনা। যেখান থেকে আমেরিকায় ফের বর্ণবিদ্বেষের ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছিল। সেই ঘটনা এক সপ্তাহ কাটতেই ফের নারকীয় ঘটনা। ১৮ বছর বয়সী এক কিশোর বন্দুকবাজের হামলায় প্রাণ খোয়ালেন নিরীহ মানুষ। সেদেশের সামগ্রিক নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন একাংশ।