প্রৌঢ়দের মধ্যে T-cell এর সাড়া জাগাতে ফাইজার নয়, অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকাই বেশী কার্যক্ষম
করোনা টিকা সংক্রান্ত তুলনামূলক গবেষণায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নয়া বিবৃতি
করোনা মহামারীর কবল থেকে রেহাই পায়নি বিশ্ববাসী। এখনো চলছে নানা প্রকারের ভ্যাকসিন নিয়ে গবেষণা ও তুলনামূলক পরীক্ষা। প্রৌঢ়, বিশেষত বয়স্কদের মধ্যে অনাক্রম্যতায় সহায়ক অ্যান্টিবডি তৈরিতে ফাইজার বা বায়োএনটেক-এর চেয়েও ভরসাদায়ক বলে প্রমাণিত হল অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা ভ্যাকসিন। আশি বছর বা তার বেশি বয়সীদের মধ্যে এই দুই প্রকারের টিকা প্রয়োগ করে পাঁচ থেকে ছয় সপ্তাহ পর পরীক্ষামূলকভাবে বিশ্লেষণ করা হলে তাৎপর্যপূর্ণ এক সম্ভাবনা লক্ষনীয় হয়। T-cell এর সাড়া জাগাতে ফাইজারের থেকে বেশী সক্ষম অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রোজেনেকা।
অনাক্রম্যতা গঠন করতে গেলে ভ্যাকসিনেশনের মাধ্যমে অ্যন্টিবডি ও T-cell দুটিই গঠন করা জরুরি। অ্যান্টিবডি সংক্রান্ত গবেষণা ও তথ্য নিয়ে সন্তুষ্টি থাকলেও T-cell রেসপন্স সংক্রান্ত খুব কম তথ্যই হাতে এসেছে কারণ এই পরীক্ষা মোটেও সহজ নয়।
ইউকে করোনাভাইরাস ইমিউনোলজি কনসার্টিয়াম ও বার্মিংহাম বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণায় স্পষ্ট দেখানো হয়েছে, অ্যাস্ট্র্যাজেনেকা ভ্যাকসিন প্রাপকদের মধ্যে ৩১ শতাংশের T-cell সাড়া মিলেছে, যেখানে ফাইজার ভ্যাকসিন প্রাপকদের মধ্যে মাত্র ১২ শতাংশে তা হয়েছে। তবে এই গবেষণা অত্যন্ত ক্ষুদ্র পরিসরে হওয়ায় এবং আগের পরীক্ষায় ফাইজারেই ৬৩ শতাংশের T-cell সাড়া মেলায় এখনো কোনো সিদ্ধান্ত টানা যাচ্ছে না। সিআইসি প্রফেসর পল মস বলেন প্রতিরোধী ক্ষমতা কমে গেলে তা চিহ্নিত করতে অ্যান্টিবডিই বেশী সংবেদনশীল, T-cell নয়। এটা সাধারণ মানুষও বুঝতে সক্ষম যে যেখানে কোশীয় অনুভূতি ১০-২০ শতাংশ কমে সেখানে অ্যান্টিবডি বিপুল মাত্রায় কমে যায়। আগামী দিনে করোনা প্রতিরোধে যোগ্য টিকা কোনটি হবে, তা নির্ধারণে এই পরীক্ষা ও তুলনামূলক আলোচনার গুরুত্ব অপরিসীম।