নেপালের হুমলা জেলায় বেআইনিভাবে তারজালি লাগাচ্ছে চীনা সরকার, রিপোর্ট নেপাল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের

নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশিত: 24/10/2021   শেষ আপডেট: 24/10/2021 6:59 p.m.
নেপাল ও চীন instagram.com/nepal

চিনা সরকারের সাথে কথাবার্তার মাধ্যমে সীমান্ত বিতর্ক মীমাংসা করতে চাইছে নেপাল বিদেশমন্ত্রী

গত বছর থেকেই শুরু হয়েছে নেপাল চীন সীমান্ত বিতর্ক। ঠিক এক বছর আগে নেপাল চীন সীমান্তবর্তী অঞ্চল হুমলা জেলায় চিন ১১ টি বিল্ডিং স্থাপন করেছিল এবং ওই ভূখণ্ডকে নিজেদের বলে দাবি করেছিল। এই প্রসঙ্গ নিয়ে উত্তাল হয়েছিল আন্তর্জাতিক মহল। তবে সম্প্রতি একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে নেপালের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় যা যথেষ্ট উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। নেপাল চীন সীমান্তবর্তী হুমলা জেলা ফের বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে এসেছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, নেপাল চীন সীমান্ত নিকটবর্তী হুমলা জেলায় চীন তাদের উপস্থিতি জানান দিয়েছে। হঠাৎ করেই চিনা সরকার ওই জেলাতে কিছু জায়গায় বর্ডার তৈরীর জন্য ফেন্স এবং তারজালি লাগাচ্ছে যা সংবিধান অনুযায়ী নেপালের অন্তর্গত। এই নিয়ে ক্রমশ উত্তপ্ত হচ্ছে সীমান্ত নিকটবর্তী এলাকা।

জানা গিয়েছে, ১৯৬৩ সালের নেপাল চীন বাউন্ডারি প্রটোকল অনুযায়ী পিলার নম্বর ৫(২) থেকে মধ্য কিট খোলা অব্দি নেপাল চীনের সীমান্ত আছে। এই নিয়ম অনুযায়ী পিলার নম্বর ৪ থেকে ১৩ নেপাল ভূখণ্ডের অন্তর্গত। কিন্তু সেই জায়গাতেই বেআইনিভাবে ঢুকে পড়ছে চীনারা। ইতিমধ্যেই ওই এলাকায় চীনাদের তারজালি লাগাতে বাধা দিয়েছে নেপালের সশস্ত্র পুলিশ বাহিনী। তবে রিপোর্ট অনুযায়ী, ইতিমধ্যেই চীনারা পিলার নম্বর ৬(১) এ ফেন্স লাগানোর কাজ সম্পন্ন করেছে এবং এরপর তারা ৬(১) থেকে ৫(২) অব্দি ফেন্স লাগানোর কাজ শুরু করবে।

সেইসাথে জানা গিয়েছে নেপালের অন্তর্গত পিলার নম্বর ৫(২) থেকে ৪ পর্যন্ত এলাকায় চীনারা নেপালিদের গবাদি পশু চড়াতে বাধা দিয়েছে। এই বিষয় নিয়ে ইতিমধ্যেই নেপালের বিদেশমন্ত্রী চিনা সরকারের সাথে কথাবার্তা শুরু করেছে। দুইপক্ষই চায় কথাবার্তার মাধ্যমে যাতে নেপাল চীন সীমান্ত বিতর্ক মিটে যায়। তবে ইতিমধ্যেই চীনারা নেপালের গোর্খা, দারচুলা, দোলাখা ইত্যাদি অঞ্চলের সীমান্তে ঘাঁটি গেড়েছে। এরপর নেপালি ভূখণ্ডে চীনাদের বেআইনি অনুপ্রবেশ আদৌ কথাবার্তার মাধ্যমে মীমাংসা হবে নাকি, সেটাই দেখার।