শর্তসাপেক্ষে খুলছে শপিং মল ও রেস্তোরাঁ, বৈঠকে ঘোষণা মমতার

নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশিত: 03/06/2021   শেষ আপডেট: 03/06/2021 4:44 p.m.
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় facebook.com/MamataBanerjeeOfficial

২৫ শতাংশ কর্মী নিয়ে খোলা হচ্ছে শপিং মলও

কথা মতোন নবান্ন (Nabanna) সভাগৃহে বণিকসভার বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। আজ মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে ছিল ২৯টি বণিক সংগঠন। বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "সবার কথা ভেবে আমরা অন্যান্য রাজ্যের মতো লকডাউন করিনি, কার্ফু করিনি। কিছু বিধিনিষেধ জারি করেছি, মানুষ সহযোগিতা করছেন।" ছাড়ের কথা উল্লেখ করে মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য, "বেলা ১২টা থেকে বিকেল ৩টে পর্যন্ত খুচরো দোকান খোলা রয়েছে। নির্মাণ সংস্থাগুলি ভ্যাকসিন নিয়ে কর্মীদের কাজ করাতে পারে। আমরা ইতিমধ্যেই ১ কোটি ৪০ লক্ষ ভ্যাকসিন দিয়েছি। ৬০-৭০ হাজার ভ্যাকসিন আমরা রোজ দিয়ে যাচ্ছি। বেশি মানুষ যাতে জমায়েত করতে না পারেন, সেটা দেখতে হবে। রাজ্যের হাট-বাজার নিয়মিত স্যানিটাইজ করা হোক। পরিচারিকাদের টিকাকরণের দিকটিও গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে।"

এরপরেই এই বৈঠকে রাজ্যে চলতি বিধিনিষেধে আরও কিছু ছাড়ের কথা ঘোষণা করে তিনি বলেন, "কোভিড বিধি মেনে কর্মীদের টিকা দিয়ে রেস্তোরাঁ খোলা যেতে পারে। বিকেল ৫টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত খোলা রাখা যেতে পারে রেস্তোরাঁ।"

তবে নির্দিষ্ট শর্তসাপেক্ষে এবং বেঁধে দেওয়া সময়সীমা মেনে তবেই তা খোলা যাবে, সে কথাও কড়াভাবে জানিয়ে দিলেন তিনি। ২৫ শতাংশ কর্মী নিয়ে খোলা হচ্ছে শপিং মলও। বৃহস্পতিবার নবান্নে বণিকসভাগুলির বৈঠকে আলোচনার পর এই সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। বিকেল ৫টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত খোলা থাকবে রেস্তরাঁ। এই সময়ের মধ্যে সেখানে গিয়ে খাওয়াদাওয়া সারতে পারবেন ভোজনপ্রেমীরা। তবে শর্ত একটাই, হোটেল, রেস্তরাঁ প্রত্যেক কর্মীর টিকাকরণ বাধ্যতামূলক। তারপরই তাঁদের কাজে লাগানো যাবে।

পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, "ভ্যাকসিনেশনে বণিক সংগঠনগুলির সহযোগিতা দরকার। আপনাদের কর্মীদের টিকা দিতে যে টাকা লাগবে, তা ত্রাণ তহবিলে দিন। সেই টাকায় টিকা কিনে সংশ্লিষ্ট সংস্থার কর্মীদের দিতে পারবে রাজ্য সরকার। অনেক মানুষ ভ্যাকসিন নিতে আগ্রহ দেখাচ্ছেন না। স্বাস্থ্য দফতরে জানান, বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হবে। কেন্দ্রের কাছে আমরা ৩ কোটি ভ্যাকসিন চেয়েছি। বাকি ভ্যাকসিন আমাদের কিনতে হচ্ছে। ভ্যাকসিনের উপরেও জিএসটি নিচ্ছে কেন্দ্র।"