ভবানীপুরের শোভনদেব এর বিরুদ্ধে রুদ্রনীল, কেমন চলছে প্রস্তুতি? অকপট রুদ্রনীল
শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই করার জন্য কি অস্ত্র নেবেন রুদ্র?
ভারতীয় জনতা পার্টির বাকি চার দফার জন্য প্রার্থী তালিকা ঘোষণা হয়ে গেল ইতিমধ্যে। একাধিক তারকা প্রার্থী এবারের নির্বাচনে টিকিট পেয়েছেন। তাদের মধ্যে অবশ্যই উল্লেখযোগ্য রুদ্রনীল ঘোষ। দিল্লিতে সাংগঠনিক বৈঠক এরপর ভবানীপুর কেন্দ্রের জন্য রুদ্রনীল ঘোষের নাম ঠিক করা হয়েছে। এই কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী হয়েছেন শোভন দেব চট্টোপাধ্যায়। এর আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই কেন্দ্র থেকে নির্বাচনে লড়তেন। এবার মমতার গড়ে রুদ্রনীল কে দায়িত্ব দিল ভারতীয় জনতা পার্টি। আসুন জেনে নেওয়া যাক, এর পরবর্তীতে রুদ্রনীল ঘোষ কি বলছেন।
বেসরকারি সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রুদ্রনীল ঘোষ বলেছেন, "দায়িত্ববোধ এবং সচেতনতা বাড়লো। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা বিধায়ক এর উপরে বীতশ্রদ্ধ হতে শুরু করেছিলাম। আমি বলব, কর্মী হিসেবে কাজ করার জন্য যেকোনো কাজ চ্যালেঞ্জিং। ভবানীপুর জিততে পারবেন না বলেই চলে গিয়েছেন মমতা। ওরা বলছে খেলা হবে। আমরা বলছি হাসপাতাল হবে, চাকরি হবে, ব্যবসা হবে।"
সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় এর সঙ্গে নিজের তুলনা করে তিনি বলেন, হাওড়ার ছেলে হয়ে ভবানীপুরের প্রার্থী হলেও এটা অনেকটা সৌরভ গাঙ্গুলীর মতই। সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় যেমন লর্ডসে, তেমনি আমি এখানে। লড়াই হবে, শোভনবাবু জনপ্রিয় নেতা। যে ভাবে শোভনবাবুর যত্নে তৈরি করা রাসবিহারী কেন্দ্র থেকে ওঁকে তুলে নিয়ে এসে এখানে দাঁড় করানো হল। এই কেন্দ্রের অবস্থা তো ‘দিদি’ নিজের হাতে খারাপ করে দিয়েছেন।
ভবানীপুরের সমস্যাগুলি নিয়ে তাকে কথা বলতে শোনা গেল। তিনি বললেন, "ভবানীপুরে জলের সমস্যা মারাত্মক। বৃষ্টি পড়লে জল দাঁড়িয়ে যায় বেশ কিছু জায়গায়। ড্রেনেজ সিস্টেম এর সমস্যা রয়েছে। তোলাবাজির দাপটে এখানে অনেকে ব্যবসা করতে পারছেন না। বাড়ি বাড়ি গিয়ে শুনবো এবারে কোথায় কোথায় কি কি সমস্যা রয়েছে। এলাকাবাসী যে যে সমস্যার কথা সবার আগে জানাবেন সেই সমস্যা আগে সমাধান করব। ভোট নিজের দিকে টানার জন্য তেমন কোনো বিশেষ স্ট্র্যাটেজি নেই। ভবানীপুরের মানুষের জন্য সত্যি কথা বলাই এবারে আমার স্ট্র্যাটেজি হবে।
এছাড়াও শেষে তিনি যিশু সেনগুপ্তর বিজেপিতে যোগ দেওয়া নিয়ে জল্পনা উস্কে দিয়ে বলেন, "সাধারণ মানুষ যেমন ভাবে চুরি ডাকাতি দেখছেন, যীশু সেনগুপ্ত ঠিক একইভাবে চুরি-ডাকাতি দেখছেন। যীশু বাংলার ভালো চান। উনিও চান না এগুলো আর হোক। প্রত্যক্ষ রাজনীতিতে আসছেন শুধুমাত্র বিরোধিতা করার জন্য। অনেকে আবার লেখালেখির মাধ্যমে মনের কথা জানাচ্ছে। যীশু সেনগুপ্ত অনেক পরিণত বয়স্ক এবং পরিণত মনস্ক। এবারও তিনি কোন পথে পা বাড়াবেন সেটা তার ব্যক্তিগত ব্যাপার।"