এক নিমেষেই জেনে নিন কোনটি আসল এবং কোনটি নকল ভ্যাকসিন
পঞ্চাশ কোটি ভারতবাসীকে ভ্যাকসিন দেওয়ার পর এখন সর্তক হল কেন্দ্র? উঠছে প্রশ্ন
দেশে টিকাকরণের গ্রাফ ক্রমশ ওপরে উঠছে। এর মধ্যেই রমরমা ব্যবসা ভুয়ো ভ্যাকসিনের। অনেকেই ভ্যাকসিন নিয়ে জ্বর অনুভব করছেন, অনেকেই অনুভব করছেন না। কিন্তু কোনটি ভুয়ো আর কোনটি আসল তা বুঝবেন কী করে? সপ্তাহ দুয়েক আগে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও, এই বিষয়টি নিয়ে সতর্ক করেছে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া এবং আফ্রিকার বেশ কিছু দেশকে। তবে এবার পঞ্চাশ কোটি ভারতবাসীকে ভ্যাকসিন দেওয়ার পর এবার ভুয়ো ভ্যাকসিন নিয়ে সতর্কীকরণ করল কেন্দ্র।
কী ভাবে বোঝা যাবে যে প্রতিষেধক দেওয়া হচ্ছে, তা ভুয়ো কিনা? কী বলছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক? জেনে নেওয়া যাক।
বর্তমানে ভারতে তিনটি ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে- সিরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়ার কোভিশিল্ড, ভারত বায়োটেকের কোভ্যাক্সিন এবং রুশ ভ্যাকসিন স্পুটনিক ভি।
প্রথমেই চিনে নিন স্পুটনিক ভ্যাকসিনের আসল রুপকে :
রাশিয়া থেকে আসা ভ্যাকসিনের শিশির লেবেলের বেশিরভাগই লেখা রুশ ভাষায়। শুধুমাত্র ৫ অ্যামপুলের প্যাকেটের সামনে এবং পিছনে ইংরেজি ভাষায় লেখা থাকে। এটিই শুধুমাত্র বিশেষত্ব।
কোভিশিল্ড :
টিকার গায়েই সংস্থার নাম "এসআইআই", গাঢ় সবুজ রঙে লেখা থাকে। সিলের অ্যালুমিনিয়াম ফয়েলের রংও গাঢ় সবুজ। ট্রেডমার্ক সহ ব্র্যান্ডের নাম লেখা থাকে শিশিতে। ওষুধের জেনেরিক নাম বোল্ড অক্ষরে লেখা থাকে না। ওষুধের নামের ওপর দিয়েই লেবেলে ছাপা থাকে "সিজিএস নট ফর সেল"। এসআইআইয়ের লোগো কোভিশিল্ডের বোতলের গায়ে একটি বিশেষ কোণে দেওয়া থাকে। যাঁরা নিয়মিত প্রতিষেধক নিয়ে কাজ করছেন, তাঁরা দেখলেই বুঝতে পারবেন ঠিক জায়গায় রয়েছে কি না চিহ্নটি।একটি বিশেষ ধরনের সাদা কালি ব্যবহার করা হয়েছে এই প্রতিষেধকের লেবেলে, যাতে সবটা স্পষ্ট ভাবে পড়া যায়।
কোভ্যাক্সিন :
প্রতিষেধকের বোতলের গায়ে একটি ডিএনএর চিহ্ন রয়েছে। খালি চোখে তা দেখা যায় না। শুধু অতিবেগুনি রশ্মিতেই তা দেখা যাবে। লেবেলে যেখানে কোভ্যাক্সিন লেখা আছে, তার এক্স (X)-এ একটি বিশেষ ধরনের রং ব্যবহৃত হয়েছে। গ্রিন ফয়েল এফেক্ট আছে তাতে।