"আত্মহত্যা করতে প্ররোচিত করা হয়েছে", বোন পল্লবীর মৃত্যুকে খুনের আঙ্গিক দিল তাঁর দিদি

নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশিত: 16/05/2022   শেষ আপডেট: 16/05/2022 5:13 p.m.
instagram.com/pallavidey153

আইনজীবীকে সঙ্গে নিয়ে গড়ফা থানায় পৌঁছেছেন পল্লবীর বাবা-মা

টেলি অভিনেত্রী পল্লবী দে-র মৃত্যু ঘিরে একের পর এক তথ্য উঠে আসছে। ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে আত্মহত্যার কথা বলা হলেও তা মন থেকে মানতে পারছেন না পল্লবীর বাবা নীলু দে। তিনি বার বার বলছেন, তাঁর মেয়ে আত্মহত্যা করতে পারে না। বার বার খুনের তত্ত্বই তুলে আনছে পল্লবীর পরিবার। আর এবার বিষ্ফোরক তথ্য তুলে ধরলেন পল্লবীর দিদি। দাবি করলেন, বোনকে আত্মহত্যার জন্য প্ররোচিত করা হয়েছে। কে করেছে? আসুন জেনে নিই।

বোনের মৃত্যুতে শোকে বিহ্বল পল্লবীর দিদি। বোনের মৃত্যু মেনে নিতে পারছেন না কিছুতেই। কাজের জন্য কলকাতায় থাকত পল্লবী। ফলত তাদের তেমন দেখা সাক্ষাৎ হত না। তবে দিদির সাথে সবকিছুই শেয়ার করত সে। সাগ্নিক অর্থাৎ তাঁর বয়ফ্রেন্ডের সঙ্গে কেমন সম্পর্ক ছিল পল্লবীর? দিদি জানান, "ওরা বিয়ে করেনি। তবে ভালবেসে এক সঙ্গে থাকত। সম্পর্কে ঝামেলা ছিল কি না, বলতে পারব না। কিন্তু ওঁদের ঝগড়া-মারপিট হত। জিনিস ভাঙচুর করতে দেখেছি। তবে ওদের ব্যক্তিগত সম্পর্ক নিয়ে কখনও কিছু জিজ্ঞাসা করিনি।" দিদি পৌলমী আর‌ও বলেন, "আমাদের পাড়ারই ছেলে (সাগ্নিক)। বাড়িতেও যাতায়াত ছিল। ছেলেটা তো ভাল বলে জানতাম। তবে আগে ওর কোনও সম্পর্ক ছিল কি না জানি না।" সোমবার সকাল থেকেই পল্লবীর পরিবারের তরফে একাধিক অভিযোগে পল্লবীর লিভ-ইন সঙ্গী সাগ্নিক চক্রবর্তীকে পরোক্ষে দায়ী করা হয়েছে। সাগ্নিকের বিরুদ্ধে পল্লবীর থেকে টাকা নেওয়া, এমনকি অভিনেত্রীর বন্ধুদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রাখারও অভিযোগ করেছিলেন পল্লবীর পরিবারের সদস্যরা।

দিদি পৌলমী আরও জানান, ধারদেনা কিছুই ছিল না পল্লবীর। ফলত অর্থকষ্ট জাতীয় সমস্যা হত না তাঁর। দিদির কথায়, "ধারদেনা ছিল না। বোনের আর্থিক সমস্যা একেবারেই ছিল না। দিব্যি একের পর এক টেলি সিরিয়ালে কাজ পাচ্ছিল। আর কাজ না পেলে অধৈর্য হওয়ার মেয়ে নয় ও। দিব্যি ছিল বোন।" পৌলমী জানান, পুলিশের তদন্তেই এখন আস্থা রাখছেন। সদ্য বোনহারা দিদির বিলাপ, "চাপে পড়েই হয়তো এ কাজ করেছে। কিংবা কেউ করতে বাধ্য করেছে।"

অন্যদিকে, আজ বিকেলের দিকে পল্লবীর বাবা-মা গড়ফা থানায় উপস্থিত ছিলেন। তাঁদের সঙ্গে ছিলেন এক আইনজীবী। মনে করা হচ্ছে পল্লবীর লিভ-ইন সঙ্গী সাগ্নিক চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে তাঁরা খুনের অভিযোগ দায়ের করতেই আইনজীবীকে সঙ্গে নিয়ে থানায় গিয়েছেন।