CCTV ক্যামেরা বসানোর ক্ষেত্রে টেক্কা দিল ভারতের এই শহর

নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশিত: 27/08/2021   শেষ আপডেট: 27/08/2021 3:13 p.m.

সিসি ক্যামেরা বন্ধ থাকায় কলকাতা ট্র্যাফিক পুলিশের একদিনে আয় কমে গেল প্রায় চার লক্ষ টাকা

দেশের রাজধানী শহরের মাথায় নতুন সাফল্যের মুকুট। সিসিটিভি (CCTV) ক্যামেরা বসানোর কাজে বিশ্বের বাকি সব শহরকে পেছনে ফেলে এক নম্বর তালিকায় উঠে এল রাজধানী শহর দিল্লি (Delhi)। সম্প্রতি বিশ্বের ১৫০ টি শহরের উপর সমীক্ষা চালিয়েছিল ফোর্বস (Forbes)। তাদের সমীক্ষার প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী, প্রতি বর্গ মাইলে সিসিটিভি ইনস্টল করার ক্ষেত্রে বাকি সমস্ত শহরকে পেছনে ফেলে দিয়েছে দিল্লি। ফোর্বসের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী দিল্লিতে প্রতি বর্গ মাইলে ১৮২৬.৬ টি সিসিটিভি ক্যামেরা রয়েছে। তৃতীয় স্থানে এ দেশেরই চেন্নাই শহর। প্রতি বর্গ মাইলে ৬০৯.৯ টি। আর বাণিজ্য নগরী মুম্বইয়ের অবস্থান ১৮ নম্বরে।

শহরে সিসিটিভি বসানোর ক্ষেত্রে আগে এগিয়ে ছিল চীনের শহরগুলি। চীনের শেনচেন, ছিংতাও, সাংহাই প্রভৃতি শহরে সবচেয়ে বেশি সিসিটিভি বসানো ছিল। এমনকী লন্ডন (১১৩৮.৫), সিঙ্গাপুর (৩৮৭.৬), নিউইয়র্ক (১৯৩.৭) কিংবা মস্কো (২১০) শহরে প্রতি বর্গ মাইলে বসানো সিসিটিভির পরিসংখ্যানকেও টেক্কা দিয়ে সবার আগে দিল্লি। সাফল্যের এই নয়া পালকে স্বভাবতই খুশি দিল্লিবাসী। এমন ফলাফলের পর দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল জানিয়েছেন, "খুবই গর্বের সঙ্গে জানাচ্ছি শহরে প্রতি বর্গ মাইলে সিসিটিভি বসানোর ক্ষেত্রে দিল্লি এগিয়ে রয়েছে। প্রতি বর্গ মাইলে সিসিটিভি বসানোর ক্ষেত্রে সাংহাই, নিউ ইয়র্ক এবং লন্ডনের মতো বিশ্বের সেরা সব শহরগুলির থেকে এগিয়ে দিল্লি।" এই মিশন সাফল্যের জন্য তিনি তাঁর সমস্ত কর্মচারী এবং ইঞ্জিনিয়ারদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন।

অন্যদিকে শহর কলকাতায় আচমকাই বন্ধ হয়ে যায় ১২০০-র বেশি সিসি ক্যামেরা। সাইবার হানার আশঙ্কা করেছিলেন অনেকেই। নজরদারি ক্যামেরা বন্ধ থাকায় একদিনে প্রায় চার লক্ষ টাকা আয় কমল কলকাতা ট্র্যাফিক পুলিশের। সিসি ক্যামেরার পাশাপাশি গতি মাপার ক্যামেরাও বন্ধ থাকায় এই জরিমানা করতে পারেনি কলকাতা ট্র্যাফিক পুলিশ সূত্রের খবর। সাধারণত বেপরোয়া গাড়ি চালকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে এমন নজরদারির ব্যবস্থা রয়েছে। চালক কোনও ভাবে ট্র্যাফিক আইন ভাঙলেই স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে মালিকের মোবাইলে জরিমানার বার্তা চলে যায়। পরবর্তী কালে তাঁকে সেই জরিমানার টাকা জমা দিতে হয়। কিন্তু একদিন এই পরিষেবা বন্ধ থাকায় প্রায় চার লক্ষ টাকা আয় কমল কলকাতা ট্র্যাফিক পুলিশের।