১০ বছর ধরে প্রেমিকের ঘরে লুকিয়ে প্রেমিকা, পরিণতি প্রাপ্তি পরিণয়ে
তবে যুবকের নামে মামলা দায়ের করেছেন 'স্টেট ওমেন’স কমিশন'
লোকচক্ষুর আড়ালে প্রেমিকের বাড়িতেই লুকিয়ে ছিল প্রেমিকা। এক-দুদিন নয়, টানা দশ বছর। তবে ১০ বছরের নিভৃতবাসের পরে অতঃপর এলো সেই তাঁদের বহু আকাঙ্ক্ষিত সেই দিন। ‘স্পেশাল ম্যারেজ অ্যাক্ট’-এর দ্বারা বুধবারে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হলেন যুগল। সিনেমার গল্পকেও হার মানানো বাস্তবের এই কাহিনীর কেন্দ্রস্থল কেরালা।
সূত্রের খবর, কেরালার পালাক্কাদ জেলার আইলুর শহরের বাসিন্দা রহমান এবং তাঁর প্রেমিকা সাজিথার সম্পর্ক মেনে নেয়নি রহমানের পরিবার। সে কারনেই পরিবারের চোখের আড়ালে সাজিথাকে নিজের ঘরে লুকিয়ে রাখেন রহমান। টানা ১০ বছর রহমানের ঘরেই ‘বন্দীদশা’ কাটান সাজিথা। তবে শেষমেশ বন্দীদশা থেকে মুক্তি পেলেন যুবতী। বুধবার নেনমারা সাব-ডিভিশন অফিসে চার হাত এক হল সাজিথা-রহমানের। উপস্থিত ছিলেন সাজিথার বাবা-মা। উপস্থিত ছিলেন নেনমারার বিধায়ক কে বাবু। তাঁদের আশীর্বাদ নিয়ে দম্পতি শুরু করলেন তাঁদের ‘পথ চলা’। যদিও শুভক্ষণে অনুপস্থিত ছিলেন রহমানের আত্মীয়, পরিজনেরা। বিয়ের পরে উপস্থিত সকলকে মিষ্টি বিতরণও করতে দেখা গেল দম্পতিকে।
তবে এরই মাঝে সাজিথাকে ১০ বছর ধরে ‘বন্দী’ করে রাখার অভিযোগ রহমানের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন কেরালা স্টেট ওমেন’স কমিশন। তবে পুলিশের কথায়, বিগত ১০ বছর ধরে যুবতীর যাবতীয় দেখাশোনা করেছে রহমান।
কিন্তু ঘরের সাথে তো লাগোয়া বাথরুম ছিল না? তবে সাজিথা শৌচকর্ম করতেন কোথায়? তার জবাবও দিয়েছে পুলিশ। তাঁরা জানিয়েছেন, প্রয়োজনে রাত্রের অন্ধকারে জানলা দিয়ে বাইরে বেরতেন সাজিথা। আর দিনের বেলায় বন্ধ থাকত সেই জানলা। এ যেন ‘গল্প হলেও সত্যি’!