পশ্চিমবঙ্গ সরকারের নোটিশ খারিজের দাবি নিয়ে আইনের দ্বারস্থ ইডি, শুনানি নভেম্বরে

নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশিত: 26/10/2021   শেষ আপডেট: 26/10/2021 5:53 p.m.
দিল্লি হাইকোর্ট delhihighcourt.nic.in

আগামী নভেম্বর মাসে দিল্লি আদালতে এই নোটিশের পরিপ্রেক্ষিতে শুনানি হবে বলে জানা যাচ্ছে

তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় দায়ের করা এফআইআর এর ভিত্তিতে কলকাতা পুলিশের তরফ থেকে এনফর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট এর কাছে দুটি আলাদা আলাদা নোটিশ পাঠানো হয়েছিল। সেই নোটিশকে বাতিল করানোর জন্য দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল ইডি। আগামী নভেম্বর মাস থেকে সেই মামলার শুনানি হবে বলে আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করে দিলো দিল্লি হাইকোর্ট। জানা যাচ্ছে আগামী ১২ নভেম্বর বিচারপতি যোগেশ খান্নার ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হবে। অ্যাডভোকেট অমিত মহাজন' ইডির তরফ থেকে সাওয়াল-জাওয়াবে অংশগ্রহণ করবেন।

তিনি জানিয়েছেন, আগামী শুক্রবার একটি মামলার তদন্ত হবার কথা। সেই সময় এই মামলার ব্যাপারেও বেশ কিছু কথা হবে বলে আইনজীবী অমিত মহাজন' জানিয়েছেন। যদিও দিল্লি হাইকোর্টের তরফ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে ১২ নভেম্বর। এই নোটিসের পরিপ্রেক্ষিতে ইডি জানিয়েছে, পশ্চিমবঙ্গ সরকার বর্তমানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আদেশ অনুযায়ী কাজ করছে। তিনি যাই বলছেন, তাই মানতে বাধ্য হচ্ছে পুলিশ। অন্যদিকে ইডির আরও অভিযোগ, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিজেই এই কয়লা কান্ড থেকে ভাইপো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে বাঁচাতে চাইছেন এবং এই কারণেই  এপ্রিল মাসে ইডির বিরুদ্ধে তিনি নিজেই একটি এফআইআর দায়ের করেছেন।

তবে, এফআইআর দায়ের করা হয়েছে মূলত ইন্ডিয়ান পিনাল কোড এর বেশ কিছু ধারা অনুযায়ী যেখানে মানহানি, রেকর্ড জালিয়াতিসহ আরো অনেক অভিযোগ করা হয়েছে। আইনজীবী সিদ্ধার্থ লুথরা পশ্চিমবঙ্গ সরকারের হয়ে এই মামলায় লড়াই করবেন বলে জানা যাচ্ছে। ইডি জানাচ্ছে, ২২ জুলাই এবং ২১ আগস্ট যে দুটি নোটিশ পাঠানো হয়েছে, তার মাধ্যমে সম্পূর্ণরূপে ইডি তদন্ত বন্ধ করার প্রচেষ্টা করছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। দিল্লি উচ্চ আদালতের কাছে একটি আবেদনপত্র জারি করে ইডি জানিয়েছে, কয়লা কান্ডের এবং অর্থ জালিয়াতির তদন্তের সঙ্গে যুক্ত অফিসারদের উপর চাপ দেওয়ার জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এপ্রিল মাসে তাদের বিরুদ্ধে একটি এফআইআর দায়ের করেছিলেন। আমরা চাইছি, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব দিল্লি আদালত এই নোটিশকে বাতিল করুক, তাহলে আবারও নতুন করে তদন্ত হতে পারবে।