সব ঠিকঠাক থাকলে আফগানিস্তানে (Afghanistan) আজকেই সরকার গঠন করতে চলেছে তালিবান (Taliban)। শুক্রবার বিকেলে নামাজের পরেই সরকার গঠনের পথে হাঁটতে চলেছে তালিবানরা, বিশেষ সূত্রের খবরে তেমনটাই ইঙ্গিত মিলেছে।
১৫ অগাস্ট তালিবানরা কাবুল দখলের পর থেকেই একের পর এক ফতোয়া জারি করতে থাকে। তালিবানি উত্থানে মহিলাদের সামগ্রিক পরিস্থিতির কথা চিন্তা করে গোটা বিশ্বই উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ে। আগের তালিবানি শাসনে মহিলাদের উপর অকথ্য অত্যাচার মনে রেখেছে গোটা বিশ্ব। তবে তালিবানদের আশ্বাস পূর্বের তালিবানদের সঙ্গে এ তালিবানের কোন সম্পর্ক নেই। শরিয়ত আইন গোটা দেশে লাগু হলেও অক্ষুণ্ণ থাকবে মহিলাদের স্বাধীনতা। তবে কেবল 'সোনার পাথর বাটি' কী না তা বুঝতে আরও কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে বলে ধারণা করছেন আন্তর্জাতিক ওয়াকিবহাল মহল। এরমধ্যেই আফগানিস্তানের মহিলাদের বক্তব্য, বোরখা পরতে তাঁরা রাজি, তবে চাকরির সুযোগ দিতে হবে।
তালিবানদের উত্থানে পশ্চিমের দেশগুলির অবস্থান 'দেখা যাক কী হয়!' তার ফলে এখনও পশ্চিমের কোন দেশ তেমন কোন কড়া মনোভাব দেখায়নি। যদিও সূত্রের খবর, তালিবানদের পাশে চীন থাকবে। এমনকী চীনের দূতাবাস আফগানিস্তানে চালু থাকবে। যদিও আমেরিকার স্পষ্ট জবাব যেকোন পরিস্থিতিতে তাদের অভিযান জারি থাকবে। অন্যদিকে রাষ্ট্রপুঞ্জ জানিয়েছে, পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদের সহায়তায় আফগানিস্তানের কয়েকটি অংশ মূলত দেশের উত্তরাংশের মাজার-ই-শরিফ এবং দক্ষিণাংশের কান্দাহার থেকে বিমান পরিষেবা চালু হয়েছে।
একটি সূত্র মারফত খবর, বিদেশে বসবাসকারী আফগান নাগরিকরা তাঁদের পরিবার ও স্বজনদের পাশে দাঁড়াতে অর্থ সাহায্য করছেন। কাতার সূত্রে খবর, খুব শীঘ্রই কাবুল বিমানবন্দরে উড়ান পরিষেবা চালু হয়ে যাবে। যার ফলে সেদেশে ত্রাণ পরিষেবা এবং যদি কোন মানুষ দেশ থেকে চলে যেতে চান, তা শুরু হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। এরমধ্যেই এখনও আফগানিস্তানের পঞ্চশির প্রদেশ মাসুদ বাহিনীর হাতে। তালিবানদের প্রবল পরাক্রমও পঞ্চশির প্রদেশ দখলে ব্যর্থ বলে জানা গেছে।
উল্লেখ্য, ১৯৯৬ থেকে ২০০১, এই পাঁচ বছরে আফগানিস্তানে তালিবানি শাসনে বিধ্বস্ত হয় গোটা দেশ। কঠোর শরিয়ত আইনের প্রভাবে সেদেশের মহিলাদের অবস্থা অত্যন্ত খারাপ পর্যায়ে পৌঁছে যায়। অধিকাংশ মহিলাই প্রায় অন্তঃপুরবাসিনী হয়ে পড়েন। শিক্ষা ও অন্যান্য ক্ষেত্রে মহিলারা ক্রমশ তলায় পড়ে যান। তবে আফগানিস্তানে নতুন তালিবানি শাসনে পূর্বের সেই অবস্থা আর থাকবে না বলে জানিয়েছে বর্তমান তালিবান নেতারা। যদিও সে বিষয়ে 'মুখের কথায়' কোন কাজ হবে না বলে বারবার হুঁশিয়ারি দিয়েছে আমেরিকা।