মে মাসে আমেরিকার সৈন্য প্রত্যাহারের পর থেকেই আফগানিস্থানে তালিবানি রাজ শুরু হয়েছে। জুলুম আর জবরদখলে জেরবার আফগানিস্তান। এবার সেই মানচিত্রে তালিবানের নতুন সংযোজন আরও তিন প্রাদেশিক রাজধানী। শুধু তাই নয়, উত্তর পূর্ব আফগানিস্তানের একটি স্থানীয় সেনা হেডকোয়ার্টার-ও তারা কব্জা করে নিয়েছে। এর ফলে এখন আফগানিস্তানের প্রায় ২/৩ ভাগই তালিবানি জিম্মায়। এর আগে মাত্র এক সপ্তাহের মধ্যেই তারা আরও ৬টি প্রাদেশিক রাজধানী দখল করেছে। শুধু তাই নয়, এদিন আফগানিস্তানের কুন্দুজ বিমানবন্দর দখল করে থেকে তারা চারটি এমআই -২৪ভি হেলিকপ্টারও বাজেয়াপ্ত করে। উল্লেখ্য, চারটি হেলিকপ্টারই ভারত, আফগানিস্তান-কে উপহার হিসেবে ২০১৯ সালে দিয়েছিল।
এরই মাঝে যখন আফগানিস্তানের রাষ্ট্রপতি আশরাফ ঘানি পুরনো যোদ্ধাদের সংগঠিত করার জন্যে মাঝার-ই-শরিফ-এ যান, তখন সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে তালিবানরা বাদাখশান-এর উত্তর পূর্বাঞ্চলীয় প্রাদেশিক রাজধানী ফইজাবাদ দখল করে।
যদিও তালিবানি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই সুর চড়িয়েছেন আমেরিকার রাষ্ট্রপতি জো বাইডেন। তিনি আফগানিস্তানের জাতীয় নেতাদের নিজস্ব মাতৃভূমি রক্ষার স্বার্থে এগিয়ে আসতে বলেছেন। গতকালই বাইডেন, হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের সামনে এই বক্তব্য পেশ করেন। সাথে তিনি আরও বলেন, আফগান সেনারা সংখ্যায় তালিবানদের থেকে অনেক বেশি। তাই তাঁদের যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়া উচিত।