ইতিমধ্যেই তালিবান বিতর্ক নিয়ে সারা বিশ্বে আলোচনার শেষ নেই। তারমধ্যে এবারে পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে ভারতের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র রচনা করতে পারে পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই। হিজাব বিতর্কে মুখ খুলেছে তালিবান। আর এই পরিস্থিতিতে একটি উর্দুস্তান আন্দোলনের ঘোষণা করতে পারে আইএসআই। সম্প্রতি হিজাবকে সমর্থন করে সেই নিয়ে বিবৃতি দিয়েছে জঙ্গিগোষ্ঠী তালিবান। তালেবানের মুখপাত্র ইনামুল্লা সামানগনি বলছেন, "হিজাব নিয়ে সংঘর্ষরত ভারতীয় মুসলিম মহিলাদের দেখলে বোঝা যায় হিজাব আরব, ইরান কিংবা পাকিস্তানের সংস্কৃতি নয়। বরং এটি আসলে একটি ইসলামিক মূল্যবোধ যার জন্য সারা পৃথিবীর মুসলিম মহিলারা বিশেষত ধর্মনিরপেক্ষ দেশে নানা ধরনের আত্মত্যাগ করে এবং নিজেদের ধর্মীয় অধিকার রক্ষা করে।"
প্রসঙ্গত গত আগস্টে আফগানিস্তান দখল করেছিল তালিবান। তারপর থেকে বারবার সে দেশের নারী নিরাপত্তা নিয়ে সারা বিশ্বের শুভবুদ্ধি সম্পন্ন মানুষ সরব হয়ে এসেছে। এবারে যারা হিজাব বিতর্কে তাদের মতামত জানিয়েছে। অন্যদিকে কর্নাটকের হিজাব বিতর্কে ইতিমধ্যেই দেশে-বিদেশে বিতর্ক শুরু হয়েছে। অনেকদিন ধরেই এই বিতর্ক শুরু হয়েছিল। তবে একটি স্কুলের হিজাবকে নিষিদ্ধ করে দেওয়ার ঘোষণার পরেই যেন এই বিতর্ক আলাদা মাত্রা নেয়। সে রাজ্যের বিজেপি সরকার জানিয়ে দেয়, যেসব পোশাক সমতা, অখন্ডতা এবং আইন শৃঙ্খলার পরিপন্থী, তা আর পরা যাবে না। স্বাভাবিক ভাবেই এই নির্দেশ নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে।
উন্মত্ত হিন্দুত্ববাদী যুবকদের জয় শ্রীরাম ধ্বনির পাল্টা আল্লাহু আকবর স্লোগান তোলা কর্নাটকের ওই মুসলিম তরুনীর ভিডিও রীতিমতো ভাইরাল হয়ে পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। তারপরেই এই হিজাব বিতর্ক আরো মাথাচাড়া দেয়। বৃহস্পতিবার হিজাব বিষয় নিয়ে একটি অন্তর্বর্তী রায় দেয় কনাটক হাইকোর্ট। যতদিন না হিসাব সংক্রান্ত মামলা নিষ্পত্তি হচ্ছে, ততদিন পর্যন্ত হিজাব সহ কোন ধরনের ধর্মীয় পোশাক পরা যাবে না কোন স্কুল এবং কলেজে। আদালত জানিয়েছে, "আবারো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা হোক। আমরা চাই রাজ্যে শান্তি ফিরুক। বিষয়টি যতদিন না পর্যন্ত নিষ্পত্তি হচ্ছে ততদিন যেন কোন রকম অশান্তির ঘটনা না ঘটে। কেউ যেন ধর্মীয় উস্কানি না দেয়।"