স্বাধীনতা দিবসের (Independence Day) দিন কর্নাটকের (Karnataka) শিবামোগা জেলার ছুরিকাঘাতের ঘটনায় জড়িত থাকার অপরাধে মঙ্গলবার সকালে চারজনকে গ্রেফতার করল কর্ণাটক পুলিশ। এই চারজনের মধ্যে তিনজনের নাম যথাক্রমে নাদিম, আব্দুর রহমান এবং জাবিউল্লা। চতুর্থ জনের নাম এখনো পর্যন্ত সামনে আনেনি কর্ণাটক পুলিশ। কর্ণাটক পুলিশ সূত্রে খবর, স্বাধীনতা দিবসে আমির আহমেদ সার্কেলে বিনায়ক দামোদর সাভারকারের পোস্টারকে কেন্দ্র করে যে বিক্ষোভ সমাবেশ হয়েছিল, সেই বিক্ষোভের মধ্যেই শিবামুগা জেলার গান্ধীবাজার এলাকায় প্রেম সিং নামের একজন ব্যক্তিকে ছুরি দিয়ে হত্যার চেষ্টা করেছিলেন এই চারজন।
কর্ণাটক পুলিশ কমিশনারেটের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অলোক কুমার বলছেন, এই চারজনের বিরুদ্ধে আগেও সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। ২০১৬ সালে কর্নাটকে শিবামোগায় গণেশের মিছিলের সময় যে সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষ হয়েছিল তার সঙ্গে জড়িত ছিলেন এই দলের পান্ডা নাদিম। অলোক কুমার বলেছেন, এই মিছিলে নাদিমই হিন্দুদের উদ্দেশ্যে চপ্পল নিক্ষেপ করেছিলেন। তিনি আরো জানিয়েছেন, গ্রেফতার হওয়া আসামিরা কোন মুসলিম জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত আছেন কিনা সেই বিষয়টা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। তবে পুলিশের ধারণা এই পুরো ঘটনাটি পূর্ব-পরিকল্পিত। সম্পূর্ণ আঁটঘাট বেঁধে, ছক কষে এই কাজটিকে সম্পন্ন করা হয়েছে।
গ্রেফতার হওয়া চারজনের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ধারা ৩০৭ (হত্যার চেষ্টা) এর অধীনে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। ঘটনার পর শিবামোগা জেলার কালেক্টর আর সেলভামনি মঙ্গলবার এই শহর এবং ভদ্রাবতী শহরের সীমানায় স্কুল এবং কলেজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। পুরো এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। সেলভামনি বলেছেন, এই দুই জায়গায় নিষেধাজ্ঞা জারি থাকবে আগামী ১৮ আগস্ট পর্যন্ত। গতকাল স্বাধীনতা দিবসের দিন আমির আহমেদ সার্কেলে বিনায়ক দামোদর সাভারকারের (Vinayak Damodar Savarkar) পোস্টারকে কেন্দ্র করে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে যে বিক্ষোভ সংঘটিত হয়, সেই বিক্ষোভের মধ্যেই এই ঘটনাটি ঘটে বলে জানাচ্ছে পুলিশ এবং প্রশাসন। তবে, এখন এই দাঙ্গার পরিস্থিতি সম্পূর্ণ কেটে গিয়েছে এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে বলে জানাচ্ছে শিবামোগা জেলা প্রশাসন। এদিকে যাতে কোন রকম অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে যায়, তার জন্য পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে পুরো এলাকায়। এছাড়াও সিসিটিভি ক্যামেরার মাধ্যমে নজরদারি চালানো হচ্ছে বলেও জানিয়েছে পুলিশ।