চিনের (China) করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ। রোজ হু হু করে বাড়ছে সংক্রমণের সংখ্যা। কড়া লকডাউনের পথে হেঁটেও কোনভাবেই আটকানো যাচ্ছে না দৈনিক সংক্রমণ। রবিবার একদিনেই সাংহাইয়ে (Shanghai) আক্রান্ত হয়েছেন ২২ হাজারের বেশি মানুষ। এর মধ্যেই আরও উদ্বেগজনক খবর, দীর্ঘদিন পর করোনায় মৃত্যুর খবর দিল সাংহাই প্রশাসন। একদিনেই অন্তত ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।
চিনের অন্যতম ব্যস্ত শহর সাংহাই। সেখানে আচমকাই করোনার প্রকোপ বৃদ্ধি পাওয়ায় কড়াকড়ি লকডাউনের পথে হাঁটে প্রশাসন। এমন কঠোর লকডাউনের পরেও কোনভাবেই আটকানো সম্ভব হচ্ছে না দৈনিক সংক্রমণ। শিশু থেকে বৃদ্ধ সকলেই প্রায় ওমিক্রনে আক্রান্ত হচ্ছেন। তবে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়লেও মৃত্যুহার অনেকটাই কম। গতকাল যে ৩ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে তাঁদের বয়স ৮৯ থেকে ৯১ বছরের মধ্যে। এমনকী ওমিক্রনে নবজাতকের আক্রান্ত হওয়ার খবরও প্রকাশ্যে এসেছে।
অনেকেই বলছেন, ওমিক্রন কিংবা ডেল্টা প্রজাতিতে দ্রুত সংক্রমণ ছড়ালেও মৃত্যুহার তুলনায় কম। তবে সাংহাই প্রশাসন কোন ফাঁক রাখতে নারাজ। এক একজনের একাধিক বার করোনা পরীক্ষা হচ্ছে। প্রয়োজনে বিভিন্ন আবাসনগুলিকে সেফ হোম বানানো হয়েছে। বাড়ানো হয়েছে দৈনিক কোভিড পরীক্ষার হার।
এরমধ্যেই এয়ার ইন্ডিয়া (Air India) হংকংয়ের বিমান পরিষেবা বন্ধ রেখেছে। রবিবার এক টুইট বার্তায় এয়ার ইন্ডিয়া জানিয়েছে, হংকং কর্তৃপক্ষের দ্বারা আরোপিত বিধিনিষেধ এবং সীমিত চাহিদার কারণে আমাদের হংকং রুটে 19 এবং 23 এপ্রিলের ফ্লাইটগুলি বাতিল করা হয়েছে। সেই নির্দেশিকায় স্পষ্ট জানানো হয়েছে ভারত থেকে আগত ব্যক্তিদের কোভিড পরীক্ষার রিপোর্ট নেগেটিভ হতে হবে, তা-ও আবার গত ৪৮ ঘন্টার মধ্যে যেন কোভিড পরীক্ষা করানো হয়। এমন পরিস্থিতিতে গোটা বিশ্বেই ক্রমশ বাড়ছে কোভিডের চতুর্থ ঢেউয়ের আতঙ্ক।