১১তম দিনে পা দিল ইউক্রেন-রাশিয়া সংঘাত (Russia - Ukraine war)। এই ক'দিনে বিশ্বের কূটনৈতিক এবং অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে এসেছে বিস্তর পরিবর্তন। মৃত্যু হয়েছে দুই দেশেরই বহু সৈন্য-সহ ইউক্রেনের প্রচুর সাধারণ নাগরিকের। রাশিয়ার বোমাবর্ষণ, শেলিং-এর জেরে কার্যত বিধ্বস্ত অবস্থা ইউক্রেনের। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক যুদ্ধ সংক্রান্ত কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য
-
রাশিয়ার বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক সাহায্য এবং নিষেধাজ্ঞা নিয়ে আলোচনা করার জন্য আজ মার্কিন রাষ্ট্রপতি জো বাইডেনের (Joe Biden) সাথে ফোনালাপে কথা বলবেন ইউক্রেন রাষ্ট্রপতি ভ্লোদিমির জেলেনস্কি (Volodymyr Zelensky)।
-
ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের (Kyiv) উত্তর এবং পশ্চিমের শিয়রে দাঁড়িয়ে রয়েছে রাশিয়ান সৈন্যদল। কিয়েভের উত্তরের শহর চেরিনিভ থেকে খবর পাওয়া গিয়েছে, রাশিয়ার আকাশপথে মিসাইল হামলা, শেলিং-এর জেরে ধ্বংস হয়ে গিয়েছে বহু ইমারত। মৃত্যু হয়েছে একাধিক নাগরিকের।
-
এরই মাঝে রাশিয়ার রাষ্ট্রপতি ভ্লাদিমির পুতিন হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, ইউক্রেনকে যদি ‘নো-ফ্লাই জোন’ হিসেবে ঘোষণা করা হয়, তাহলে কেবলমাত্র ইউরোপীয় রাষ্ট্রগুলি নয় বরং সমগ্র বিশ্বকেই ভয়ঙ্কর প্রতিদান দিতে হতে পারে।
-
জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ স্কোলজ্ জানিয়েছেন, আগামীকাল জার্মানি, রাশিয়ার সঙ্গে ইউক্রেনের বিষয়ে তৃতীয় বৈঠকটি করবেন, যাতে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব যুদ্ধ স্থগিত করা যায়। এবিষয়ে পুতিন জার্মান চ্যান্সেলরকে ফোনালাপে বলেছেন, যদি তাঁদের সমস্ত দাবি পূরণ হয় তাহলে তাঁরা ফের ইউক্রেনের সঙ্গে সমঝোতা বৈঠকে বসতে পারেন।
-
বিবিসি, সিএনএন, ইটালির আরএআই এবং জার্মানির এআরডি ও জেডবিএফ-এর মতো সংবাদ সংস্থাগুলি জানিয়েছে, সংবাদমাধ্যম নিয়ে জারি করা রাশিয়ার আইনের পর তাঁরা আর রাশিয়া থেকে রিপোর্টিং করবেন না। উল্লেখ্য, সম্প্রতি রাশিয়া একটি আইন পাস করেছে, যাতে বলা হয়েছে সে দেশের সম্বন্ধে কোন 'ভুয়ো খবর' ছড়ানো হলে সংবাদসংস্থার সর্বোচ্চ ১৫ বছর পর্যন্ত হাজতবাস হতে পারে।
-
রাশিয়া ইউক্রেনকে আক্রমণ করার পর থেকে ইতিমধ্যেই ইউক্রেন ছাড়া হয়েছেন প্রায় ১৪ লক্ষ নাগরিক। যুদ্ধ চলাকালীন কার্যত একঘরে হয়ে পড়েছে পুতিনের রাষ্ট্র। জাতিসংঘের মানবাধিকার সংগঠনের ভোটে রাশিয়া কেবলমাত্র পাশে পেয়েছে এরিট্রিয়াকে। ইতিমধ্যে ভারতকে পাশে থাকার জন্য অনুরোধ করেছে রাশিয়া, ইউক্রেন দুই দেশই।