ক্রমবর্ধমান ঋণের ঠেলায় কার্যত পঙ্গু হয়ে পড়েছে পাকিস্তানের অর্থনীতি। এহেন অবস্থায় বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়াতে দেশের নাগরিকদের কাছে হাত পাতছে ইমরান খানের সরকার। জানা যাচ্ছে দেশবাসীর কাছে পাকিস্তান সরকার ঋণ চাইছে। ঋণ হিসেবে অর্থ নয় সোনা চাইছে পাকিস্তান সরকার। স্টেট ব্যাঙ্ক অফ পাকিস্তান জানিয়েছে ১১ ফেব্রুয়ারী পর্যন্ত, কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের রিজার্ভ ক্রমাগত হ্রাস পেতে পেতে তলানিতে ঠেকেছে। পাকিস্তানের ফরেন এক্সচেঞ্জ রিজার্ভের পরিমাণ মাত্র ১৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়ানোর জন্য মরিয়া পদক্ষেপে, ইমরান খানের সরকার। পাকিস্তানের ইকোনমিক এক্সিকিউটিভ কাউন্সিল, পাকিস্তানের অর্থমন্ত্রী এবং স্টেট ব্যাঙ্ক অফ পাকিস্তানের গভর্নর মিলিত সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন যে দেশবাসীর থেকে সোনার বিস্কুট এবং সোনা ধার করা হবে। তবে এমনি এমনি ধার করা হবে না। জনগণের কাছ থেকে একটি নির্দিষ্ট শর্ত সাপেক্ষে স্বর্ণঋণ নেওয়া হবে। এই প্রস্তাবটি প্রথমে একজন প্রবাসী পাকিস্তানী তাহির মেহমুদ প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের কাছে উত্থাপন করেছিলেন, যিনি পরে ইইসি-র কাছেও এর উল্লেখ করেন।
মিডিয়া রিপোর্ট অনুসারে, পাকিস্তানের বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলি এই বিষয়ে সরাসরি যোগাযোগ রাখবে গ্রাহকদের সঙ্গে। ওই ব্যাঙ্কগুলি গ্রাহকদের একটি বিশেষ ডিসকাউন্টের ব্যবস্থা করে দেবে সোনা কেনার ওপর এবং নির্দিষ্ট হারে সুদ প্রদান করবে যদি তারা সেই সোনা ব্যাংকে জমা রাখে।বিনিময়ে, ব্যাঙ্কগুলি এসবিপি-তে সোনা জমা করবে যা ফরেন এক্সচেঞ্জ রিজার্ভ বাড়ানোর কাজে সহায়তা করবে। সৌদি আরবের কাছে ৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের ঋণ রয়েছে পাকিস্তানের। বিশ্ববাজারে সব মিলিয়ে পাকিস্তানের ঋণের পরিমাণ প্রায় ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। বলাই বাহুল্য পাকিস্তানের অর্থনীতির প্রত্যাবর্তন খুবই কঠিন হতে চলেছে।