শুরুতেই দক্ষিণ আফ্রিকার (South Africa) সঙ্গে সব ধরণের যোগাযোগ বন্ধ করা হয়েছিল। তারপরও শেষরক্ষা হল না। মার্কিন মুলুকেও পৌঁছে গেল করোনার নয়া স্ট্রেন ওমিক্রন (Omicron)। আমেরিকার তরফে সরকারি ভাবে জানানো হয়েছে এই তথ্য। আমেরিকার প্রেসিডেন্টের স্বাস্থ্য বিষয়ক মুখ্য উপদেষ্টা অ্যান্টনি ফাউচি জানিয়েছেন, তাঁদের দেশে একজন কোভিড আক্রান্তের শরীরে ওমিক্রনের সন্ধান মিলেছে। ক্যালিফোর্নিয়ার বাসিন্দা ওই ব্যক্তি ২২ নভেম্বর দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে ফিরেছিলেন। ২৯ নভেম্বর তাঁর কোভিড পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ আসে। এখন তিনি সুস্থ। শরীরে মৃদু উপসর্গ রয়েছে। সেই ব্যক্তির কোভিড টিকার দু'টি ডোজ-ই নেওয়া ছিল। তাই অনেক চেষ্টা করেও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র (USA) আটকাতে পারল না কোভিডের এই নয়া স্ট্রেন।
ডিসেম্বরে ইউরোপ জুড়েই আনন্দের রোশনাই। ক্রিসমাস, নিউ ইয়ার-সহ আরও বেশ কয়েকটি অনুষ্ঠানে মেতে উঠবে ইউরোপের দেশগুলি। আর এর মধ্যেই করোনার এই নতুন স্ট্রেন ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে বলে আশঙ্কা করেছেন একাংশ। গত বছরের ভয়াবহ স্মৃতির কথা অনেকেই স্মরণ করেছেন। ইতালি, জার্মানি মতো দেশের ভয়াবহ দৃশ্যতে গোটা বিশ্ব চমকে উঠেছিল। কিংবা আমেরিকার রোজ আক্রান্তের সংখ্যা এবং মৃত্যুর লাগামছাড়া আতঙ্কে স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিল গোটা দেশ। তাই এখনই সতর্ক নাহলে সেই গত বছরের দৃশ্য ফিরে আসতে চলেছে ইউরোপ জুড়ে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ইতিমধ্যেই সমস্ত দেশকে সতর্ক করে দিয়েছে। করোনার এই নয়া স্ট্রেন যে 'অতি উদ্বেগজনক', একথা আগেই ঘোষণা করা হয়েছে। সবদিক খতিয়ে দেখে আমেরিকার প্রাথমিক তৎপরতা কোন কাজেই লাগল না। এমন কড়া বিধি-নিষেধের পরেও সেদেশে থাবা বসাল করোনার নতুন স্ট্রেন ওমিক্রন।
এমন পরিস্থিতিতে ভারতের অবস্থান কী? ভারতে এখনও পর্যন্ত সরকারিভাবে কোন ওমিক্রন আক্রান্তের হদিশ মেলেনি। গতকাল ঝুঁকিপূর্ণ দেশ থেকে আসা প্রায় ৩ হাজার ৪৭৬ জনের মধ্যে ৬ জনের শরীরে করোনা ধরা পড়েছে। আরটি-পিসিআর রিপোর্টে এই তথ্য এসেছে। বর্তমানে দিল্লির এক হাসপাতালে তাঁরা চিকিৎসাধীন। আক্রান্ত এই ৬ জন আমস্টারডাম এবং লন্ডন থেকে আসা। তাঁদের শরীরে ওমিক্রনের সংক্রমণ ঘটেছে কী না তা খতিয়ে দেখতে তাঁদের শরীরের নমুনা পাঠানো হয়েছে। জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের মাধ্যমে দেখা হবে তাঁরা করোনার কোন প্রজাতি আক্রান্ত। ইতিমধ্যেই আন্তর্জাতিক বিমানের ক্ষেত্রে নয়া নির্দেশিকা জারি করেছে কেন্দ্র সরকার। নয়া বিধি-নিষেধের বেড়াজাল তৈরি হয়েছে। কিন্তু কতদিন এইভাবে করোনার নতুন স্ট্রেন ওমিক্রনকে আটকে রাখা সম্ভব হবে তাই নিয়ে ধন্ধে ওয়াকিবহাল মহল।