দীর্ঘদিন যাবৎ কৃষক আন্দোলনের জেরে উত্তপ্ত রাজধানী। আইন প্রত্যাহারের জন্য বৈঠক থেকে বন্ধ সবেতেই সামিল ছিল কৃষকরা, সুরাহা হয়নি কিছুতেই। আগামী ১৪ই ডিসেম্বর অনশনের ডাক দিয়েছেন তাঁরা। কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমর আগেও এই তীব্রতর বিক্ষোভের পেছনে মাওবাদী ও জঙ্গী ইন্ধন উড়িয়ে দেননি, তবে এবার মার্কিন মুলুক থেকেও প্রতিবাদ আসায় সেই শঙ্কাই কি উস্কে দিল খালিস্তানি সংগঠন?
শনিবার ওয়াশিংটন ডিসির গান্ধী মেমোরিয়ালে আচমকা ঢুকে পড়েন কয়েকজন শিখ সম্প্রদায়ের মানুষ যারা আবার খালিস্তানপন্থী। কেন্দ্রের কৃষি আইন বিরোধী স্লোগান দিতে দিতে গান্ধীজির মূর্তিতে কালি লাগান তাঁরা এবং খালিস্তানি পতাকায় ঢেকে দেন। এমনকি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ছবিতেও কালি লেপন করেন বিক্ষোভকারীরা। তারা ক্রোধান্বিত সুরে বলেন পাঞ্জাবের মানুষের দাবী শুনতে অস্বীকার করছে কেন্দ্রীয় সরকার এমনকি শিখদের জঙ্গি আখ্যা দিয়ে কী বোঝাতে চাইছেন, এটিও তাদের প্রশ্ন। ভারতীয় দূতাবাস অবশ্য এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন বিশ্বব্যাপী অহিংসার পূজারীকে এইপ্রকার অসন্মান ধিক্কারজনক। হাই কমিশনারের তরফ থেকেও বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে মার্কিন সরকারকে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, কানাডার রক্ষনশীল দল, লিবারাল পার্টি ও নিউ ডেমোক্রেটিক পার্টি ইতিমধ্যেই পূর্ণ সমর্থন জানিয়েছে কৃষকদের পক্ষে। ব্রিটেনের শ্রমিক দলের প্রধান প্রীত কৌর স্তব্ধ হয়েছেন কৃষকদের শান্ত করতে কেন্দ্রের জলকামান ও কাঁদানে গ্যাসের ব্যবহার দেখে।