করোনা, এখন এই কথাটি সকলের মুখে মুখে। প্রথম থেকেই চীনের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল এই ভাইরাসকে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে দেওয়ার। কিন্তু তার বিরুদ্ধে কোনরকম পোক্ত প্রমাণ এখনো পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। এখনো পর্যন্ত এমন কোনো প্রমাণ আসেনি যা ব্যবহার করে চীনকে সরাসরি চাপে ফেলা যায়। চীন বারবার চেষ্টা করেছে এই অভিযোগ নাকচ করার। কিন্তু এবারে চীনের বিরুদ্ধে একটি এমন প্রমাণ সামনে এলো যার ফলে চীনের সমস্যা অনেকটাই বেড়ে গেলো বলেই বলছেন বিশেষজ্ঞ মহল। তাদের অভিমত, সার্স করোনা ভাইরাস নিয়ে এমন কিছু নথি সামনে এলো যার ফলে চীনের অনেক গোপন ব্যাপার সামনে এসে গেলো। তারা বলছেন, চীনের সামরিক বাহিনী ২০১৫ সালে এই মারন ভাইরাসকে একটা জৈব অস্ত্র হিসাবে ব্যবহার করার চেষ্টা করেছিল।
চীনের একজন শীর্ষ স্তরের বিজ্ঞানী এই ঘোষণা করে একেবারে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে দিয়েছেন। একজন চিনা ভাইরোলোজিস্ট বলছেন, সারস কোভ ২ নামক ওই ভাইরাস চীনের সরকারি গবেষণাগারে তৈরি হয়েছে। এছাড়াও তার দাবি চীনের সামরিক বিভাগ ওই ভাইরাসকে জৈব অস্ত্র হিসাবে ব্যবহার করার চেষ্টা করেছিল। শুধু তাই না, এই ভাইরাসের মাধ্যমে নাকি তৃতীয় বিশ্ব যুদ্ধ করার প্ল্যান ছিল চীনের। চিনা ভাষায় লেখা একটি নথি পেশ করেছেন এই বিজ্ঞানী। আর এই বিজ্ঞানীর পেশ করা এই নথি চীনের সমস্যা অনেকখানি বাড়িয়ে দিয়েছে। অস্ট্রেলিয়ার একটি ওয়েবসাইটে দাবি করা হয়েছে, এই করোনা ভাইরাসের জিন নাকি ইচ্ছামত ব্যবহার করে যেকোনো মানুষের শরীরে ঘাতক অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা যায়। ইতিমধ্যেই এই নথি নিয়ে তোলপাড় গোটা বিশ্বে। তবে চীনের কোন প্রতিক্রিয়া এখনো পর্যন্ত সামনে আসেনি।