সীমান্ত সমস্যা মেটেনি, তবে এবার দেশের জলবিদ্যুতের উৎপাদন তিন গুণ বাড়াতে ভারতের ব্রহ্মপুত্র নদের জলপ্রবাহের উপর দানবাকৃতি বাঁধ বানাতে চলেছে চিন। এদিকে পাল্টা চাল হিসাবে দিল্লিও ব্রহ্মপুত্র নদের জলপ্রবাহের নীচের দিকে আর একটা বাঁধ বানানোর কথা ভাবছে। তবে এতে বেশ উদ্বিগ্ন পরিবেশবিদরা। কারণ দু’টি বাঁধই ভূকম্পপ্রবণ। অন্যদিকে, পূর্ব লাদাখে আক্রমণাত্মক ভাবে রয়েছে ভারত ও চিনের সেনাবাহিনী। তবে সেখানে কিছুটা স্বস্তি দিয়ে লাগাতার আলোচনার মাধ্যমে ফেব্রুয়ারি মাসে প্যাংগং থেকে ফৌজ সরিয়ে নিয়েছে দুই দেশ। তবে এখনও গোগরা-হটস্প্রিং থেকে ফৌজ সরাতে নারাজ চিন।
সূত্রের খবর, শুক্রবার চুশুল সেক্টরে ভারতের দিকে বর্ডার মিটিং পয়েন্টে একাদশতম বৈঠকে বসেন দুই দেশের সেনা কমান্ডাররা। এই আলোচনার পরেই প্যাংগং হ্রদের উত্তর ও দক্ষিণ দিক থেকে সেনা সরালেও গোগরা ও হটস্প্রিং থেকে বাহিনী সরাতে নারাজ বেজিং। উল্লেখ্য, দু’দেশের মধ্যে ৯ দফা আলোচনার পর গত ফেব্রুয়ারি মাসে সেনা প্রত্যাহার শুরু করে ভারত-চিন। ‘পিপলস লিবারেশন আর্মি’ তাদের বিপুল সংখ্যক সেনা, শয়ে শয়ে ট্যাঙ্ক ও সাঁজোয়া গাড়ি, হাউৎজার সরিয়ে নিয়েছে প্যাংগং হ্রদ লাগোয়া আট নম্বর ফিঙ্গার পয়েন্টের কাছে।
এর সাথেই ভারতের উদ্বেগের কারণ হয়ে উঠে দাঁড়িয়েছে বাঁধ। সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, ব্রহ্মপুত্র নদের জলপ্রবাহ নীচের দিকে (ভারতের দিকে) নামার জন্য প্রতিবন্ধক হয়ে উঠবে। লাগোয়া ভূকম্পপ্রবণ এলাকায় ভূমিকম্পের আশঙ্কা তীব্রতর করে তুলবে। সুবিশাল ওই বাঁধ বানানো হলে বহু স্থানীয় বাসিন্দা আশ্রয়চ্যূত হবেন।