আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে গাড়িবোমা বিস্ফোরণে ছিন্নভিন্ন হয়ে গেল সাত-আটজন স্কুলপড়ুয়াসহ কমপক্ষে ৬৩ জনের প্রাণ। গুরুতর আহত ১৫০ জন স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ঘটনাটি শনিবার সন্ধ্যায় ঘটেছে।
সূত্রের খবর, শনিবার পশ্চিম কাবুলের দস্ত-এ-বারচি এলাকায় সৈয়দ-উল-সুহাদা হাইস্কুলের সামনে এই বিস্ফোরণটি ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ান অনুযায়ী, স্কুলের সামনেই বিস্ফোরক ভর্তি গাড়িটি রাখা ছিল। স্কুল ছুটির পর প্রবেশদ্বারের সামনে ছাত্রীদের ভিড় ছিল। আর তৎক্ষণাৎ বিস্ফোরণটি ঘটে। বিস্ফোরণের ফলে রক্তে ভেসে যায় চারদিক। চারদিকে ছড়িয়ে থাকতে দেখা যায় পোড়া বই, ব্যাগ ইত্যাদি। বিস্ফোরণের পর স্থানীয় মানুষ এবং উদ্ধারকারী দল ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার কাজ শুরু করেন।
এই ঘটনার পর সোমবার আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট আশরফ ঘানি পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল ওমর জাভেদ বাজওয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। সঙ্গে ছিলেন ব্রিটিশ আর্মড ফোর্সের কাবুল প্রধান নিক কার্টার। আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট জানিয়েছেন, তালিবানি হামলায় বিধ্বস্ত আফগানিস্থানে প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তানের পাশে থাকায় শান্তি প্রতিষ্ঠিত হবে। দুই দেশের পারস্পরিক সহযোগিতায় দেশে শান্তি প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি দুই দেশের অর্থনৈতিক মেলবন্ধনের গতিপথ অনেকটা এগিয়ে যাবে।
উল্লেখ্য, গত এপ্রিলে আমেরিকা জানায় ১১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে আফগানিস্তান থেকে সেনা সরানো হবে। এ ঘোষণার কয়েক দিনের মাথায় কাবুলে ফের বিস্ফোরণে উদ্বিগ্ন প্রশাসন। প্রশাসন ইতিমধ্যেই ১ হাজারের বেশি তালিবানি সন্ত্রাসবাদি নিকেশ করেছে। ফলে আফগান প্রশাসনকে বাড়তি চাপ রাখতে পরপর এই বিস্ফোরণ বলে মনে করছেন আন্তর্জাতিক প্রতিরক্ষা বিশ্লেষক একাংশ। আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানি জানিয়েছেন, সেনা দিয়ে আফগানিস্তানের গৃহযুদ্ধ সমস্যার সমাধান কখনোই সম্ভব নয়। তার পাশাপাশি পাকিস্তানের পাশে থাকার বার্তায় আফগানিস্তানে শান্তি প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্র প্রস্তুত হবে বলে মনে করছেন একাংশ।