বাংলাদেশে (Bangladesh) সংখ্যালঘু হিন্দুদের উপর হামলার প্রতিবাদে গোটা দেশজুড়েই বাড়ছে আন্দোলনের ঝাঁঝ। শুক্রবার সেদেশের চট্টগ্রামে অনুষ্ঠিত হয় বিশাল প্রতিবাদ মিছিল এবং মানববন্ধন অনুষ্ঠান। সেদেশের গণমাধ্যম সূত্রে তেমনটাই খবর। দেশে ক্রমাগত সংখ্যালঘু হিন্দুদের উপর অত্যাচার, হিন্দু শিক্ষক হত্যা, হিন্দু নারীদের ধর্ষণের ঘটনা বেড়ে চলেছে বলে অভিযোগ করছেন সেদেশের সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়। উত্তরোত্তর বেড়ে চলা এই ঘটনার প্রতিবাদে দেশজুড়েই চলছে প্রতিবাদ কর্মসূচি।
বাংলাদেশের একটি সংবাদ সংস্থা হিন্দু সংবাদ টুইটারে লিখেছে, "নড়াইল সাহাপাড়ায় হিন্দুদের ওপর বর্বর মৌলবাদী জিহাদি হামলার প্রতিবাদে শাহবাগে এবং সারাদেশে বিভিন্ন হিন্দু সংগঠনের বিক্ষোভ শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে।" উল্লেখ্য, এর আগে বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছিলেন, যারা দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করে, তাদের বিরুদ্ধে সরকার কঠোর ব্যবস্থা নিশ্চিত করবে। যদিও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের একাংশের অভিযোগ, বাস্তবে তেমন ঘটনা চোখে পড়ে না।
বাংলাদেশ ন্যাশনাল হিউম্যান রাইটস কমিশন (NHRC) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে হামলার তদন্ত করতে নির্দেশ দিয়েছে। এমনকী তাদের প্রতিরোধে অবহেলা ছিল কিনা তা নির্ধারণ করার কথা বলা হয়েছে। এনএইচআরসি আরও বলেছে যে একটি 'ধর্মনিরপেক্ষ দেশে' ধর্মীয় সহিংসতা কোনো অবস্থাতেই গ্রহণযোগ্য নয়।
উল্লেখ্য, গত ১৫ জুলাই নড়াইলের লোহাগড়ার সাহাপাড়া এলাকায় হিন্দু সংখ্যালঘুদের বাড়িতে আগুন লাগানোর ঘটনা ঘটে। জুম্মার নামাজের পর উন্মত্ত জনতা বাড়িঘরে আগুন দিতে শুরু করে। অভিযোগ এমনই যে একজন ১৮ বছর বয়সী ব্যক্তি ফেসবুকে মুসলিমদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দিয়ে পোস্ট করেছে। স্থানীয়দের মতে, পোস্টটি করেছিলেন গ্রামের ১৮ বছর বয়সী কলেজ ছাত্র আকাশ সাহা। তারা শুক্রবার জুমার নামাজের পর ছাত্রের বাড়ির সামনে জড়ো হয়ে তাকে গ্রেফতারের দাবিতে বিক্ষোভ দেখিয়েছিল। তারপরেই হিন্দুদের বাড়িঘরে আগুন লাগানোর অভিযোগ ওঠে।
গোটা ঘটনায় দেশজুড়ে শুরু হয়েছে বিক্ষোভ সমাবেশ। ১৫ জুলাইয়ের পর থেকে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সংখ্যালঘু হিন্দুরা বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন। চলছে মানববন্ধন কর্মসূচি।