গুজবই সত্যি হল। মায়ানমারের মিলিটারি বাহিনীর অধীনস্থ টিভি চ্যানেল মিয়াওয়াডি টিভিতে ক'দিন ধরেই ঘোষণা করা হচ্ছিল যে এবার দেশে এক বছরের জন্য জারি হতে চলেছে সেনাবাহিনীর শাসন। শাসক সরকার ও সেনাবাহিনীর ক্রমাগত দ্বন্দ্বে অবশেষে সরকারের ভোট-জালিয়াতিকে দায়ী করে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে সেনাবাহিনী। তাই এবার তারাই কেড়ে নিল ক্ষমতা। বন্দি করা হয়েছে স্টেট কাউন্সিলর সূ চী সহ দেশের রাষ্ট্রপতিকেও। মায়ানমারের রাজধানী নেপিটোয় ইন্টারনেট সহ সমস্ত যোগাযোগের মাধ্যম কেটে দেওয়া হয়েছে।
মায়ানমারের এই ঘটনায় উদ্বেগে সারা বিশ্ব। ইতিমধ্যেই চিন্তা প্রকাশ করেছে আমেরিকা। তাদের হোয়াইট হাউস মুখপাত্র জেন সাকি বলেন যেভাবে মায়ানমারে গণতন্ত্রের ওপর আঘাত হানছে সেনাবাহিনী, তা ভয়ের। নির্বাচনের ফলাফলকে কোনোভাবে বিকৃত করার চেষ্টা করলে তা বিরুদ্ধে যাবতীয় পদক্ষেপ আমেরিকা নিতে রাজি। অস্ট্রেলিয়ার বিদেশমন্ত্রী ম্যারিস পেইনও উদ্বেগের সাথে বলেন নির্বাচনের ফলকে মেনে নিয়ে সূ চী কে মুক্তি দেয়া হোক। সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে সরব হয়ে এককালে ক্ষমতায় আসা সূ চীর জমানাতেও ব্যপক ক্ষমতা ভোগ করে সেনাদল। সর্বশেষ ভোটে সূ চীর দল জয়যুক্ত হলেও ভোট কারচুপির অভিযোগ করে সেনারা। এই অভিযোগ উড়িয়ে দেয় সূ চী রা। এবার সরাসরি সূ চীর বিরুদ্ধে সংবিধান বিরোধীতার অভিযোগ তুলে নিজেরাও সংবিধান বহির্ভূত উপায়ে চড়াও হলেন ক্ষমতায়। সমস্যার সমাধান এখন কোন পথে হয়, সেটাই দেখার।