ইউক্রেন-রাশিয়া সংঘাতের (Ukraine-Russia conflict) আবহে আমেরিকা, ফ্রান্সের মতো দেশগুলি কোমর বেঁধে পক্ষপাতিত্ব শুরু করে দিলেও নিরপেক্ষই ছিল ভারতবর্ষ। তবে বিশ্বের অগ্রগণ্য শক্তিগুলির একটি হওয়ার সুবাদে এবার তার নিরপেক্ষ থাকার সম্ভাবনা প্রায় ক্ষীণ। গতকালই ইউক্রেন সরকার ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর নাম উল্লেখ করে রাশিয়ার সঙ্গে কথা বলে যুদ্ধ থামানোর আবেদন জানান। যার জন্য গতকাল রাত্রিবেলায় রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের (Vladimir Putin) সাথে খোদ ফোনালাপ করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)। এবার রাশিয়ার বিরুদ্ধে এককাট্টা হওয়ার জন্য ভারতের পাশে চাইল আমেরিকাও (USA)।
সূত্রের খবর, গতকাল মধ্যরাত্রে ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করকে ফোন করেন মার্কিন স্বরাষ্ট্রসচিব অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। এবিষয়ে খোদ মার্কিন স্বরাষ্ট্রসচিব টুইট করে জানিয়েছেন, “ইউক্রেনের সার্বভৌমত্ব এবং আঞ্চলিক অখণ্ডতার উপর রাশিয়ার আক্রমণ আন্তর্জাতিক সীমা নিয়মকে স্পষ্টভাবে লঙ্ঘন করে। যৌথভাবে রাশিয়ার আক্রমনের প্রতিবাদ করার জন্য এবং ইউক্রেনের পাশে দাঁড়ানোর জন্য ভারতের বিদেশমন্ত্রী ডঃ এস জয়শঙ্করের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে”। টুইট করে বিষয়টি স্বীকারও করে নিয়েছেন ভারতের বিদেশমন্ত্রীও।
তবে এতে যে ভারত শাঁখের করাত পরিস্থিতিতে পড়েছে, সে কথা একবাক্যে মেনে নিচ্ছে কূটনৈতিক মহল। একেই বহুবছর ধরে ভারতের সঙ্গে মিত্রতার সম্পর্ক রয়েছে রাশিয়ার। অন্যদিকে মোদী জমানায় আমেরিকার সাথেও বেশ হৃদ্যতা বেড়েছে ভারতের। এহেন পরিস্থিতিতে একজনের পক্ষে সায় দিলেই হারাতে হতে পারে অপরজনের সান্নিধ্য। আর কোনও দেশকেই মিত্রশক্তির পদ থেকে হারাতে চাইবে না ভারত। তাই, এখন ভারত কিভাবে এই প্রতিকূল পরিস্থিতির মোকাবিলা করে, সেদিকেই নজর থাকবে বিশ্ববাসীর।