বাংলাদেশের কাছে আরও ইলিশ পাঠানোর আর্জি রাখলেন পশ্চিমবঙ্গের মৎস্য ব্যবসায়ীরা। তাদের বক্তব্য বাংলাদেশের ইলিশ পশ্চিমবঙ্গে অত্যন্ত ভালোভাবে বিক্রি হতে শুরু করেছে। ইতিমধ্যেই পুজোর মরশুম চলে এসেছে। তার মধ্যেই, যদি বাংলাদেশের ইলিশ আরও আসে তাহলে পশ্চিমবঙ্গের মানুষের রসনা তৃপ্তি হবে আরো ভালোভাবে। তবে এখনো পর্যন্ত এই বিষয়ে কোনো নিশ্চয়তা পাওয়া যায়নি। বাংলাদেশের বাণিজ্যমন্ত্রী মুন্সি টিপু বর্তমানে দুবাইয়ে অবস্থান করছেন। যদি তিনি ফেরত আসেন বাংলাদেশে তাহলে তার পরে এই সমস্ত বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হবে।
গত ২২ সেপ্টেম্বর থেকে এখনো পর্যন্ত বাংলায় প্রতিদিন ২০ থেকে ২৪৬ মেট্রিক টন ইলিশ পাঠানো হয়েছে। ইলিশ কারবারিরা জানাচ্ছেন, যেহেতু ইলিশ মাছ অত্যন্ত পচনশীল একটি মাছ, তাই যদি বেশি পরিমাণে মাছ চলে আসে তাহলে সেটা রাখা অত্যন্ত সমস্যার হয়ে উঠতে পারে। এই কারণেই এপার বাংলায় যদি ৩০ থেকে ৫০ মেট্রিক টন পদ্মার ইলিশ ঢোকে তাহলে চাহিদা মিটবে বাঙালির। বাংলাদেশ আগামী ২৪ অক্টোবর পর্যন্ত ইলিশ ধরা বন্ধ। এই সময়টা ইলিশের প্রজনন এর সময় তাই ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধি করার জন্য বাংলাদেশে এই মুহূর্তে ইলিশ ধরা বন্ধ রয়েছে।
অন্যদিকে, যখন আবার ইলিশ ধরা শুরু হবে যাতে এপার বাংলার মানুষ পদ্মার ইলিশ পায় সেই আর্জি জানিয়েছে ফিশ ইমপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সচিব সৈয়দ আনোয়ার মাকসুদ। হাওড়ার পাইকারি ব্যবসায়ী জানাচ্ছেন, পুজোর আগেই ঢাকার পাঠানো ইলিশ শেষ হয়ে যাবে। তাই পূজার সময় বাঙালির পাশে পদ্মার ইলিশ নাও আসতে পারে। তাই বাংলাদেশ সরকারের কাছে আমাদের আর্জি, যেন এইবারে পুজোর আগে আরও কিছুটা ইলিশ পাঠানো হয় যাতে বাঙালিরা পুজোর সময় ইলিশের স্বাদ পেতে পারে।