আপনারা আশা করি সকলেই খবরের কাগজে এবং রাস্তার ধারে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার পোস্টার দেখেছেন। সকলেই হয়তো ভাবছেন ওখানে যে মহিলার ছবি রয়েছে তিনি হয়তো সেই বাড়িটি পেয়েছেন। কিন্তু বাস্তবটা কিন্তু সেরকমটা নয়, ভারতীয় জনতা পার্টির ওই পোস্টারে যে মহিলার ছবি রয়েছে তিনি কোনোভাবেই ওই বাড়ি পাননি। ভারতীয় জনতা পার্টি তার ছবি শুধুমাত্র ব্যবহার করেছে বলে খবর। তার পুরো পরিবার নিয়ে তিনি বসবাস করেন বউবাজারের এক চিলতে একটি ঘরে। সেই ঘরে রাত্রিবেলা ঘুমানোর জায়গা হয়না পুরুষদের। মহিলারা বাচ্চাদের নিয়ে রাতে ঘুমান ওই ঘরে। আর পুরুষেরা রাতে ফুটপাতে মশারি টাঙিয়ে শুয়ে পড়েন। ঘরে ঢুকতে গেলে মাথা নিচু করে ঢুকতে হয় আর সেই ঘরের জন্য ভাড়া দিতে হয় প্রতিমাসে ৫০০ টাকা। কিন্তু, বউবাজারের এই বাসিন্দা কিন্তু সেই বাড়ি পাননি।
সেই বাড়ি নিয়ে অসন্তোষ এখনো পর্যন্ত লেগেই রয়েছে। লক্ষ্মী দেবীর কাগজ বেরিয়েছে বলে খবর, কিন্তু তিনি কোনা বাড়ি না পেলেও বর্তমানে সকলেই ভাবছেন তিনি কোন না কোন একটা বাড়ি পেয়েছেন। ফলে পরিবারের সামনে তিনি এক সমস্যার মধ্যে পড়েছেন। সকলে ভাবছেন লক্ষ্মী দেবীর পরিবার বাড়ি পেয়েছে, কিন্তু সেটা কারকে জানায়নি। গত ২০০৯ সালে স্বামী চন্দ্র দেব প্রসাদ মারা গিয়েছিলেন তিনি সরকারি বাসের কর্মী ছিলেন। সেই সময় বলা হয়েছিল একজনকে চাকরি দেওয়া হবে, কিন্তু সেই প্রতিশ্রুতি জানানো হয়নি। তিনি আরো বলেছেন, " গঙ্গাসাগর মেলার আগে বাবুঘাটে ঠিকা শ্রমিক এর কাজ পেয়েছিলাম। সেখানে বেশ কয়েকজন আমার ছবি তুলেছিল। এখন দেখতে পাচ্ছি সেই ছবিটা আবাস যোজনার ঘর পেয়ে উপকৃত হয়েছি বলে ছাপিয়ে দেওয়া হয়েছে।" লক্ষ্মী দেবীর ছেলে রাহুল এবং বিজয় বলেছেন, "সরকারি ঘর তো পেলাম না আর বিজ্ঞাপনে বলে দেওয়া হল ঘর পেয়েছি। বাবার মৃত্যুর পর মনে হয়েছিল ভাইদের একজনকে চাকরি দেওয়া হবে কিন্তু তা মেলেনি। এখন সরকারের কাছে আমাদের আবেদন যে ঘরের জন্য এত বদনাম হলো সেই ঘর আমাদের এখন চাই।"