তৃণমূল-কংগ্রেসের বরিষ্ঠ নেতা এবং মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের মৃত্যুর চব্বিশ ঘন্টা কাটতে না কাটতেই শুরু হয়ে গেল রাজনৈতিক তরজা। এদিন রাজ্যের পরিবহন মন্ত্রী এবং কলকাতার প্রাক্তন মেয়র ফিরহাদ হাকিম কেন্দ্র সরকার এবং কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলির বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে দাবি করলেন, সুব্রতবাবুর মৃত্যুর জন্য দায়ী বিজেপি এবং সিবিআই-ইডি'র মতো কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলি।
আজ এক সর্বভারতীয় সংবাদ সংস্থার কাছে তিনি বলেন, "বিজেপির প্রতিহিংসাপরায়ণ রাজনীতির জন্য অনেক মানুষকে হারিয়েছি আমরা"। প্রসঙ্গত, মাস কয়েক আগেই নারদ মামলায় মদন, শোভন, ফিরহাদের সাথে গ্রেফতার হয়েছিলেন সুব্রতবাবুও। সেই ঘটনার পর অত্যন্ত ব্যথিত হয়ে পড়েছিলেন সুব্রত, এমনটাই দাবী ফিরহাদের।
তবে ফিরহাদ হাকিমের এই দাবী সম্পূর্ণরূপে নস্যাৎ করে দিয়েছেন বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তাঁর কথায়, 'সুব্রতবাবুর মৃত্যুর সময় বয়স হয়েছিল ৭৫ বছর এবং তিনি অসুস্থতাজনিত কারনেই মারা গেছেন। এটি খুব দুঃখের বিষয় যে তাঁর মৃত্যুতেও রাজনীতিকে টেনে আনতে তৃণমূল।
গত ২৪ অক্টোবর শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা নিয়ে এসএসকেএম-এ ভর্তি তিনি। সূত্রের খবর, ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠছিলেন সুব্রতবাবু। আজ তাঁকে ছুটি দেওয়ার কথা ছিল। তবে তার আগেই পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করলেন তৃনমূল কংগ্রেসের অন্যতম কান্ডারী। গতকাল রাত ৯ টা ২২ মিনিটে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। তাঁর মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ রাজনৈতিক মহল থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষও।