শাসকের লাল চোখকে উপেক্ষা করেই পুজোর মরশুমেই ফুটে উঠেছিল প্রতিবাদের সুর। গত দেড় বছরের বেশি সময় ধরে চলা তিন কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে চলা লাগাতার কৃষক আন্দোলনের কথা গোটা বিশ্বের জানা। তৈরী হচ্ছে ইতিহাস। তবুও অনড় সরকার। আইন প্রত্যাহার করতে বিন্দুমাত্র রাজি নন তাঁরা। এবার দুর্গাপূজার থিমে ধরা পড়েছিল তেমনই কৃষক আন্দোলনের চিত্র। আর তাতেই চরমে ওঠে বিপত্তি। পুজো কমিটির এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছিল, সংযুক্ত কিষান মোর্চা। কারণ দমদম পার্ক ভারতচক্র মণ্ডপের মূল স্লোগান ছিল, "লখিমপুর খেরির পাশে দাঁড়ান।" তবে কিষান ও সাধারণ মানুষের কাছে এই উদ্যোগ প্রশংসিত হলেও, ভালো চোখে দেখেননি সমাজের একদল মানুষ। তাঁদের মধ্যে প্রতিবাদ গড়ে উঠেছিল, এই মন্ডপকে কেন্দ্র করে। শুরু হয় জলঘোলা, যা পৌঁছায় কলকাতা হাইকোর্ট পর্যন্ত।
তবে নবমীর দিনে দমদম পার্ক ভারতচক্রের পুজো উদ্যোক্তারা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললেন। কারণ আজ বৃহস্পতিবার মামলার শুনানির সময় বিচারপতি কৌশিক চন্দ জানতে চান, এই মন্ডপের সঙ্গে জুতোর কী সম্পর্ক? সে সময় জবাবে অ্যাডভোকেট জেনারেল সৌম্যেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় বলেন, "জালিয়ানওয়ালাবাগ থেকে শুরু করে যে কোনও গণ আন্দোলনের উপর আক্রমণ নেমে আসলে সেখানে লড়াইয়ের পর প্রচুর জুতো পড়ে থাকে। উত্তরপ্রদেশেও যখন কৃষকদের আন্দোলনের উপর আক্রমণ হচ্ছিল তখনও মৃত কৃষকদের জুতো পড়ে থাকতে দেখা গিয়েছে। তাই এই থিমে জুতো ব্যবহৃত হয়েছে।"
এরপরেই কলকাতা হাইকোর্টের তরফে আজ জানিয়ে দেওয়া হল, এই পুজোর বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলায় এখনই তারা কোনও হস্তক্ষেপ করবে না। তবে আগামী ২৫ অক্টোবর এই মামলায় রিপোর্ট দাখিল করবে পুলিশ। তারপরই পদক্ষেপ করা হবে।