ভবানীপুরের যদুবাবুর বাজারে দিলীপ ঘোষের কর্মসূচীতে হামলা, অভিযোগ ধাক্কাধাক্কির। হামলায় মাথা ফাটল বিজেপি কর্মীর। উপনির্বাচনের আগে শেষ দিনের কর্মসূচিতে কার্যত তুমুল উত্তেজনা ভবানীপুরে। অভিযোগ, টিকাকরণ পদ্ধতি খতিয়ে দেখতে একটি পুর স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ঢোকেন বিজেপি সাংসদ। আর সেই সময় বিজেপি সাংসদকে নাকি নিগ্রহ করা হয়। দেওয়া হয় জয় বাংলা স্লোগান। যদিও পাল্টা জয় শ্রীরাম স্লোগান দিয়েছেন বিজেপির কর্মীরা। এরপরেই এক বিজেপির কর্মীর মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়। অভিযোগের তীর তৃণমূলের দিকে। এ সময় পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যেতে দিলীপ ঘোষের নিরাপত্তা রক্ষীরা বন্দুক উঁচিয়ে ভিড় হঠানোর চেষ্টা করেন। এবং আহত কর্মীকে হাসপাতালে নিয়ে যান দিলীপ ঘোষ।
এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। বলেছেন, "এই ঘটনা প্রমাণ হয়ে গেল পশ্চিমবঙ্গে গণতন্ত্র নেই।" ভবানীপুরের বিজেপি প্রার্থী প্রিয়ঙ্কা টিবরেওয়াল বলেছেন, "ভোটের দিন এমন হলে বুঝে নেবে কেন্দ্রীয় বাহিনী। ভোটে বেগতিক বুঝতে পেরেই গুণ্ডাবাহিনী নামিয়েছে তৃণমূল।"
এরপরেই এদিন বিকেলে এই ইস্যুতে সরব হয়ে দিলীপ ঘোষ দাবি তুললেন, ভবানীপুরে ভোটগ্রহণ স্থগিত রাখা হোক। এমনকি এই দাবি তুলেই নির্বাচন কমিশনের দারস্থ হয়েছে বিজেপি। কারণ দিলীপ ঘোষের দাবি, "ভবানীপুর উপনির্বাচনে শান্তিপূর্ণ ভাবে ভোটগ্রহণ সম্ভব নয়। আমি প্রচারে গেলে আমাকে চার দিক দিয়ে ঘিরে আক্রমণ করা হয়। বাধ্য হয়ে ভয় দেখতে আমার নিরাপত্তারক্ষীরা বন্দুক বার করেন। এক ঘণ্টা আগে আমাদের সাংসদ অর্জুন সিংহ প্রচারে গেলে তাঁকেও ধাক্কাধাক্কি করা হয়। তাঁকে নিরাপত্তারক্ষীরা বার করে নিয়ে যেতে বাধ্য হন। এর আগে প্রার্থী প্রিয়ঙ্কা টিবরেওয়ালকেও আক্রমণ করা হয়েছে। রাজ্য সভাপতিকেও বাধা দেওয়া হয়েছে। আমরা আগে থেকেই পুলিশকে জানিয়েছিলাম। কিন্তু পুলিশ সহযোগিতা করেনি।"