গতকাল দুপুরেই তৃণমূলে (Trinamool) যোগ দিয়েছেন বাবুল সুপ্রিয় (Babul Supriyo)। এরপরেই সাধারণ মানুষ থেকে রাজনৈতিক মহলে বিশেষ টানপোড়েন চললেও, বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেছিলেন, ‘‘আমি কিছু বলব না। যা বলার দিল্লি বলবে।’’ যদিও পরে দিলীপবাবু জানিয়েছিলেন, আবেগের বসে নাকি দলবদল করেছেন বাবুল সুপ্রিয়।
প্রকাশ্যে এই নিয়ে মুখ না খুলতে দেখা গেলেও, এক সংবাদমাধ্যমকে একান্ত সাক্ষাৎকারে বাবুল সুপ্রিয় বলেন, "দিলীপবাবুর মন্তব্যের কোনও জবাব আমি দেব না। তবে দিলীপদার সঙ্গে দেখা হলে আমি তাঁকে বর্ণপরিচয় উপহার দেব। আমার মনে হয় দিলীপদাকে বাংলা ভাষা নতুন করে শিখতে হবে। উনি যেটা বলেন, সেটা বাংলা নয়। উনি বাংলা ভাষাকে কলুষিত করেন। ভদ্র বাংলা ভাষা কী সেটা ওঁনার জানার প্রয়োজন আছে।"
প্রসঙ্গত, দলবদলের পর আজ সাংবাদিক বৈঠকে হাজির ছিলেন বাবুল সুপ্রিয়। সেখানেও দিলীপ ঘোষের সমালোচনায় বাবুলের বক্তব্য, "যাঁরা আমাকে পর্যটক বলছেন, তাতে আমার বিশেষ কিছু আসে যায় না। আমাকে কী দায়িত্ব দেওয়া হবে, তার উত্তর আমি দিতে পারব না, উত্তর দল দেবে। আমার কোনও পোস্ট যদি বিড়ম্বনায় ফেলে, তাহলেও আমি সরব না। তবে আপনারা যদি জানতে পারেন, আমাকে জানাবেন, আমি চুপচাপ ডিলিট করে দেব। একটা দলের আদর্শ হওয়া উচিত, মানুষের হয়ে কাজ করা।"
উল্লেখ্য, এদিন বৈঠকের শুরুতেই বাবুল সুপ্রিয় ধন্যবাদ জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তিনি স্পষ্ট করে বললেন, "খেলার সুযোগ না পেয়ে আমি বিজেপি ছেড়েছি। আমি সবসময় প্রথম একাদশেই থাকতে চাই। সেই কারণে আমি বলব, আমায় প্রথম একাদশে রাখার জন্য দিদি ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে ধন্যবাদ জানাই।"