শেষ পর্যন্ত করোনা প্রতিষেধক হিসাবে ছাড়পত্র পেল বাবা রামদেবের সংস্থার ওষুধ 'করোনিল'। জানা যাচ্ছে, আয়ুষ মন্ত্রক বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সার্টিফিকেশন স্কিম অনুসারে এই অনুমোদন দিয়েছে। তবে এর আগে 'করোনিল'-এর উদ্ভব হতেই, রামদেবের করোনার ওষুধের বিজ্ঞাপন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। প্রসঙ্গত, গত জুনেই করোনিল ও শ্বাসরি নামের দুই করোনার ওষুধ বাজারে এনেছিল পতঞ্জলি। তবে তৎকালীন সময়ে ওষুধ বিক্রিতে কোনও বিধিনিষেধ আরোপ করেনি আয়ুষ মন্ত্রক। এরপর এদিন পতঞ্জলির তরফে দাবি করা হয়েছে, অতিমারির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে করোনিল প্রমাণের ভিত্তিতে তৈরি করা হয়েছে।
এদিন শুক্রবার এক অনুষ্ঠানে লঞ্চ করা হল 'করোনিল' ট্যাবলেট। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষবর্ধন এবং পরিবহণমন্ত্রী নীতীন গড়করি'কে। অনুষ্ঠানে 'করোনিল' ট্যাবলেট লঞ্চ করার পর, রামদেবের দাবি, "এই ওষুধ সারিয়ে দেবে করোনা।" এর আগেও রামদেব বলেছিলেন, "ওষুধের ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালও হয়েছে করোনা রোগীদের উপরে। এবং তা একশো শতাংশ সফল। আমরা যখন করোনিলের মাধ্যমে লক্ষ লক্ষ মানুষকে জীবনদান করার কাজ করেছিলাম তখন অনেকেই প্রশ্ন তুলেছিলেন। আসলে কিছু মানুষ বিশ্বাস করেন, গবেষণা বোধহয় কেবল বিদেশেই হয়। এদিকে আয়ুর্বেদের গবেষণা নিয়েই অনেকেরই মনে সন্দেহ। তবে সেই সন্দেহের মেঘ এখন কেটে গিয়েছে।"
রামদেবের দাবিকেই পূর্ণ সমর্থন জানিয়ে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষবর্ধন বলেন, ”আয়ুর্বেদের বিশ্বাসযোগ্যতা ও বাবা রামদেবের উপরে কখনই সন্দেহ করা উচিত নয়। বাবা রামদেবের স্বপ্নই ভারত সরকারের স্বপ্ন।”