একদিকে শান্তিকুঞ্জে শিশির অধিকারীর আপ্যায়নে মধ্যাহ্নভোজ সারছেন বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। ঠিক একই সময়ে তমলুকে অধিকারীদের ঘনিষ্ঠ ১০ নেতাকে বিদায় দিল তৃণমূল কংগ্রেস। শহীদ মাতঙ্গিনী ব্লক তৃণমূলের দায়িত্বে ছিলেন এরা। শনিবার বিকেল সাড়ে তিনটে নাগাদ পূর্ব মেদিনীপুরের তৃণমূলের জেলা সভাপতি সৌমেন মহাপাত্র বলেছেন, "দল বিরোধী কাজের জন্য ওই নেতাদের সাসপেন্ড করা হয়েছে এবং যথেষ্ট প্রমাণ পাওয়ার পরেই আমরা সেই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছি। যে সমস্ত নেতাদের বের করা হয়েছে তারা দীর্ঘদিন ধরে দলের বিরোধী কাজের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন এবং তারা দলের হয়ে কোন কাজে যুক্ত হচ্ছিলেন না।"
এই নেতা নেত্রীদের মধ্যে রয়েছেন তনুশ্রী জানা, রাখি আদক। তনুশ্রী জানা স্বামী দিবাকর জানা এই ব্লকের শুভেন্দুর ডানহাত হিসেবে পরিচিত ছিলেন। অন্যদিকে রাখি আদকের স্বামী রঘুনাথপুর ২ এর পঞ্চায়েত সদস্য। রাখি এবং তনুশ্রী ছাড়া রয়েছেন শিলাদিত্য আদক, সুনীল দেব অধিকারী, নিকুঞ্জ বিহারী মান্না, বিভাস কর সহ আরো অনেকে। তমলুক বিধানসভায় এলাকাতে এরা দলের কাজ পর্যালোচনা করতেন। তমলুক বিধানসভার প্রার্থী হতে চলেছেন সৌমেন মহাপাত্র। ২০১১ সালে তিনি তমলুক থেকে বিধায়ক হয়েছিলেন কিন্তু ২০১৬ সালে তাকে সরিয়ে দেওয়া হয় পিংলা আসনে। অধিকারীরা ভারতীয় জনতা পার্টিতে যোগদান করার পরে আবারও তমলুক আসনের দায়িত্ব পেলেন সৌমেন মহাপাত্র।