আল-কায়েদা জঙ্গি সন্দেহে মুর্শিদাবাদ এবং কেরল থেকে গ্রেফতার করা হয়েছিল ১১ জনকে। এবারে তাদের বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করেছে গোয়েন্দা সংস্থা এনআইএ। জাতীয় তদন্তকারী সংস্থার বিশেষ আদালতে ওই চার্জশিট পেশ করা হয়েছে। এনআইএ দাবি করেছে, রাজধানী দিল্লি সহ বড় বড় জঙ্গি হামলার নেপথ্যে ছিল ধৃতরা। মুর্শিদাবাদের একাধিক জায়গায় অভিযান চালিয়ে ৬ জনকে গ্রেফতার করে এনআইএ। তার সাথে কেরলের এর্নাকুলাম এ অভিযান চালানো হয়। সেই অভিযান থেকে গ্রেপ্তার করা হয় ৩ জনকে। গোয়েন্দাদের রিপোর্ট অনুযায়ী ওই ধৃতদের নাম হলো মুর্শিদ হাসান, মোশারফ হোসেন, মইনুল মন্ডল, লিউ ইয়ান আহমেদ, শামীম আনসারী, ইয়াকুব বিশ্বাস, নাজমুস সাকিব, আতিউর রহমান, আবু সুফিয়ান, আল মামুন কামাল এবং আব্দুল মোমিন মন্ডল।
এনআইএ জানিয়েছে, ভারতীয় দণ্ডবিধির ১২০ বি, ১২১, ১২১ এ, ১২২ ধারা প্রয়োগ করে তাদের বিরুদ্ধে চার্জশিট ফাইল করা হয়েছে। পাশাপাশি, ১৬, ১৮,১৮বি, ২০, ৩৮, ধারা, বেআইনি ক্রিয়া-কলাপ করার জন্য ৪০ ধারা এবং অস্ত্র আইনের ২৫ ধারা অনুযায়ী মামলা রুজু করা হয়েছে। জানা যাচ্ছে আল-কায়েদা ইন সাবকন্টিনেন্টের সক্রিয় সদস্য হলেন এরা। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা আরও দাবি করেছে, তদন্তের পর জানা যাচ্ছে মুর্শিদের নেতৃত্বে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে নাশকতার ছক কষেছিল এই ধৃতরা। পাকিস্তান এবং বাংলাদেশ আল-কায়েদার সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছিল মোরশেদ। সেখান থেকে নেট মাধ্যম ব্যবহার করে সাংকেতিকভাবে বিভিন্ন জিহাদি কার্যকলাপের নির্দেশ ছড়িয়ে দিত তারা। আল-কায়দার সংগঠনের নতুন সদস্য যোগানের কাজ করছিলেন ধৃতরা। এছাড়াও ইসলামিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করার লক্ষ্য ছিল তাদের। এমনকি এ দেশে বসবাসকারী একজন বাংলাদেশী ব্লগারকে খুনের পরিকল্পনা করেছিলেন তারা।