একুশে বিধানসভা নির্বাচনের আগে দলবদল এখন একটা ট্রেন্ড। প্রথমেই শুভেন্দু অধিকারী অমিত শাহের হাত ধরে বিজেপিতে যোগদান করে। তখনই আসানসোলের প্রাক্তন মেয়র জিতেন্দ্র তিওয়ারির বিজেপিতে যোগদান করার কথা ছিল। কিন্তু সেই সময় ঘাসফুল শিবিরে পদত্যাগ করেও বিজেপিতে ঠাঁই পায়নি জিতেন্দ্র তিওয়ারি। তাই ঘর ওয়াপসি করে তৃণমূলে ফিরে আসেন তিনি। আসলে তখন বিজেপির কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়, সায়ন্তন বসু ও বিজেপি মহিলা মোর্চার সভাপতি অগ্নিমিত্রা পাল জিতেন্দ্র তিওয়রির বিজেপিতে যোগদান নিয়ে তীব্র বিরোধিতা করেছিলেন। অবশ্য তার ফল ভুগতে হয়েছে তাদেরকে। বঙ্গ বিজেপি ওই তিন নেতা-নেত্রীকে ঘটনা প্রসঙ্গে শোকজ অব্দি করে।
তারপর এতদিন পর আজ জিতেন্দ্র তিওয়ারি দিলীপ ঘোষের হাত ধরে বৈদ্যবাটি সভা থেকে বিজেপিতে যোগদান করেছেন। তার বিজেপিতে যোগদান করার পরেই সম্পূর্ণ অন্য সুর শোনা গেল কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়র গলায়। তিনি বলেছেন, "জিতেন্দ্র তিওয়ারি আসানসোলের একজন বড় নেতা। ফিরহাদ হাকিম বা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে চিঠি লিখেছে অভিযোগ তিনি জানিয়েছিলেন তা খুবই সাহসী পদক্ষেপ। বেশ কিছুদিন ধরে ওনার সাথে কথাবার্তা বলার পর আমাদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি মিটে গেছে। তিনি আমাদের মতই মোদিজীর পথমার্গে চলা এক রাজনৈতিক নেতা। উনার সাথে কাজ করতে আমাদের কোন অসুবিধা হবে না এবং উনাকে আমরা বিজেপিতে স্বাগতম।"
নির্বাচনের ঠিক প্রাকমুহুর্তে জিতেন্দ্র তিওয়ারি এত ভনিতা করার পর বিজেপিতে যোগদান শাসকদল শিবিরের জন্য জোরালো ধাক্কা হবে তা নিয়ে কোন সন্দেহ নেই। অবশ্য এই বিষয়ে তেমন একটা প্রতিক্রিয়া দেখায়নি তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেছেন, "অনেকেই তো যাচ্ছেন। আবার অনেকে বিজেপি দেখো আমাদের দলে আসছে। কেউ চলে গেলে আমাদের কিছু যাবে আসবে না। তবে যারা যাচ্ছেন পরে তাদের আঙ্গুল চুষতে হবে। এইটুকু আমি বলে রাখলাম।"