তৃতীয় এবং চতুর্থ দফার প্রার্থী তালিকা ঘোষণার পর থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছে বিজেপি কর্মী সমর্থকদের একের পর এক বিক্ষোভের পালা। রাজ্যের জায়গায় জায়গায় বিজেপি কর্মী সমর্থকরা প্রার্থী বদলের দাবি জানিয়ে সোচ্চার হয়েছেন। তার পাশাপাশি, সম্প্রতি রাজ্যে সভা করতে এসেছিলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী তথা বিজেপির হিন্দুত্বের অন্যতম প্রধান মুখ যোগী আদিত্যনাথ। কিন্তু তার সভা গেল একদম ফ্লপ। তার ওই জনসভায় সিট ভরলো না বললেই চলে। দুইয়ে মিলে বর্তমানে বিজেপি বেশ কিছুটা চাপে। তাই এবারে নতুন করে সমীকরণ তৈরি করতে হচ্ছে বিজেপির সর্বভারতীয় নেতাদের।
রাজ্যে বিজেপির অবস্থা আবারো করতে পারে হয়ত ভারতীয় জনতা পার্টির সবথেকে শক্তিশালী অস্ত্রগুলিকে। বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ এবং বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি মুকুল রায় হয়তো এবারের বিধানসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চলেছেন বিজেপি টিকিটে। বীরভূমের দুবরাজপুর আসনে দাঁড়াতে চলেছেন দিলীপ ঘোষ এবং মুকুল রায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চলেছেন কৃষ্ণনগর দক্ষিণ আসন থেকে। এই দুটি আসনে গত লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি বেশ কিছুটা এগিয়ে ছিল। তাই এই দুটি আসন বিজেপির পক্ষে একটি সেফ সিট হতে চলেছে। ইতিমধ্যেই বিজেপির বেশ কয়েকজন সাংসদ যেমন বাবুল সুপ্রিয়, লকেট চট্টোপাধ্যায়, স্বপন দাশগুপ্তরা এবারের বিধানসভা নির্বাচনে প্রার্থী হতে চলেছেন বিজেপির হয়ে। আর এই তালিকায় নতুন সংযোজিত হলেন দিলীপ ঘোষ। যদিও মুকুল রায় শেষ নির্বাচনের' লড়েছিলেন গত ২০০১ সালে। সেই সময় তাকে পরাজিত হতে হয়েছিল। তারপর থেকে আর নির্বাচনে লড়তে দেখা যায়নি মুকুল রায়কে।