এবারে মিড ডে মিলে মিলল আর্সেনিক। তাও আবার মাত্রার থেকেও অনেক বেশি পরিমাণে। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গবেষণায় এরকম তথ্যই উঠে এসেছে। জানা যাচ্ছে, বেশ কিছুদিন ধরেই গাইঘাটা ব্লকের বেশ কিছু জায়গায় এই আর্সেনিক এর সমস্যা চোখে পড়ছিল। সেই এলাকার পানীয় জলে আর্সেনিকের সমস্যা রয়েছে। এই কারণে গাইঘাটার একটি স্কুলের পড়ুয়াদের মূত্র, চুল এবং নখের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল এই কাজের জন্য। তারপর এইগুলি পরীক্ষা করা হয় যাদবপুর ইউনিভার্সিটির একটি ল্যাবে। সেখানে উঠে আসে, অনুমোদিত মাত্রা থেকেও বেশি পরিমাণে আর্সেনিক রয়েছে তাদের শরীরে। যার ফলে তাদের দেহে ক্যান্সারের মতো মারণ রোগ ধরার সম্ভাবনা রয়েছে।
এই এলাকায় পড়ুয়ারা প্রত্যেকদিন খাবার এবং জলের সাথে ৩৬৬ মাইক্রো গ্রাম আর্সেনিক গ্রহণ করছে। এটা কিন্তু অনুমোদিত মাত্রা থেকে অনেকটা বেশি। তাছাড়া যেখানে আর্সেনিক নিয়ন্ত্রণে থাকে সেই সমস্ত জায়গায় দৈনিক আর্সেনিকের পরিমাণ থাকে মাত্র ১৬৬ মাইক্রো গ্রাম। প্রতি কেজি ওজনের জন্য অনুমোদিত মাত্রা হল ৩ গ্রাম। সেখানে উত্তর ২৪ পরগনার এই এলাকায় আর্সেনিকের পরিমাণ কিন্তু অনেক বেশি বেড়ে গিয়েছে। গাইঘাটার এই এলাকাতে সমস্ত জল নেওয়া হয় নলকূপগুলি থেকে। এই সমস্ত নলকূপে আর্সেনিকের পরিমাণ অত্যন্ত বেশি। তাই এই অতিরিক্ত আর্সেনিক দূষণ কমানোর দুটি রাস্তা রয়েছে- আর্সেনিক মুক্ত জল পান এবং জিংক সমৃদ্ধ বেশকিছু ট্যাবলেট গ্রহণ করা। জানা যাচ্ছে এখন পরিস্থিতি বেশ কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আছে। সম্প্রতি একটি আন্তর্জাতিক জার্নালে এই গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয়েছে।