সংখ্যালঘুদের গণহত্যার ডাক দিয়ে জেল খাটতে হয়েছে। তাতেও ক্ষান্ত নন বিতর্কিত ধর্মগুরু যতি নরসিংহানন্দ (Yati Narsinghanand)। ফের তাঁর বিরুদ্ধে মুসলিম নিধনে অস্ত্র তুলে নেওয়ার অভিযোগ উঠল। হরিদ্বারের পর এবার হিমাচল প্রদেশের এক গোপন ধর্ম ধর্মসভায় এমনই বিতর্কিত, চাঞ্চল্যকর অভিযোগ উঠেছে।
সূত্রের খবর, দিন কয়েক আগেই তিনি জেল থেকে ছাড়া পেয়েছেন। তাঁর জামিনের শর্তই ছিল কোন প্রকার ধর্মসভায় অংশগ্রহণ করা যাবে না। তবে এদিন অভিযোগ উঠেছে গোপনে নাকি তিনি হিমাচল প্রদেশের উনা জেলার একটি ধর্মসভায় যোগ দিয়েছিলেন। শুধু তাই নয়, সেই ধর্মসভাতেও নাকি তিনি ফের মুসলিম বিরোধী বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন। যদিও সেই ধর্মসভার আয়োজক সংস্থার দাবি, সেটি কোন ধর্মীয় সভা ছিল না। নিতান্তই ঘরোয়া আলোচনা। তবে ঘটনার খবর প্রকাশ্যে আসার পরেই ফের বিতর্ক তৈরি হয়েছে।
হিমাচল প্রদেশের উনা জেলার মুবারকপুর এলাকায় একটি ধর্মসভার আয়োজক ছিল অখিল ভারতীয় সন্ত পরিষদ। সেখানেই নাকি এই বিতর্কিত ধর্মগুরু যতি নরসিংহানন্দ উপস্থিত ছিলেন। ধর্মসভার প্রথম দিনেই তিনি নাকি বলেছেন, হিন্দুদের প্রতি আমার বার্তা হল হিন্দুদের উচিত তাদের পরিবারকে শক্তিশালী করা। অর্থ দিয়ে পরিবার মজবুত হয় না। পরিবারগুলি শক্তিশালী হয় যখন সেখানে সন্তান এবং ভালোবাসার সম্পর্ক থাকে। হিন্দুদের আরও বেশি সন্তান ধারণ করা উচিত। তাদের বাড়ি, পরিবার, মা, বোন এবং মাতৃভূমি রক্ষা করতে আরও সন্তান নেওয়া উচিত।
এর আগেও তিনি বেশ কয়েকবার বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন বলে অভিযোগ। গত ৩ এপ্রিল তিনি ভয়ঙ্কর অভিযোগ করেছিলেন, "একজন মুসলিম প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর ২০ বছরের মধ্যে ৫০ শতাংশ হিন্দু ধর্মান্তরিত হবে।" এই চাঞ্চল্যকর দাবির জন্য নরসিংহানন্দ সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন। তারপরে, দিল্লি পুলিশ তাঁকে এবং অন্যান্য বক্তাদের বিরুদ্ধে বিদ্বেষমূলক বক্তৃতা দেওয়ার জন্য মামলা করে। এতে উল্লেখ করা হয়েছে যে অনুষ্ঠানের অনুমতি প্রত্যাখ্যান করা সত্ত্বেও আয়োজকদের বিরুদ্ধে অনুষ্ঠানের অভিযোগ উঠেছিল। ফের তিনি হিমাচল প্রদেশের এক ধর্মসভায় এমনই বিতর্কিত অভিযোগ করেছেন।