অবশেষে জামিন পেলেন অভিনেত্রী তথা তৃণমূলের যুবনেত্রী সায়নী ঘোষ। খুন করার চেষ্টা, এমনই অভিযোগ রয়েছে তৃণমূল যুবনেত্রীর বিরুদ্ধে। গতকালই গ্রেফতার হন তিনি। এরপর আজ তাঁকে আদালতে পেশ করা হলে, দু’দিনের জন্য সায়নীকে হেফাজতে রাখতে চাইল পুলিশ। কিন্তু সব আবেদনকে খারিজ করে সায়নীকে জামিন দিল ত্রিপুরা আদালত।
আজ ব্রাত্য বসু, কুণাল ঘোষ, অর্পিতা ঘোষ এবং সুস্মিতা দেব যান থানায় সায়নীর সঙ্গে দেখা করতে। তবে তৃণমূল নেতাদের থানায় ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়। এবং ত্রিপুরা প্রশাসন জানিয়ে দেয়, শুধু আইনজীবীরাই কথা বলতে পারবেন সায়নীর সঙ্গে। তবে সায়নীর সঙ্গে দেখা করেছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
এদিন সোমবার বিকেল পৌঁনে ৫টা নাগাদ সায়নীকে তোলা হয় আগরতলা আদালতে।শুনানির পর তাঁকে জামিন দেন বিচারক।
আজ দিল্লিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। মূলত ত্রিপুরার ইস্যু এবং সায়নীকে গ্রেফতারের ঘটনাকে কেন্দ্র করেই ছিল আজকের আলোচনা। বৈঠক শেষ করে সংবাদমাধ্যমের উদ্দেশ্যে তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "রাজনৈতিক স্বার্থেই গ্রেফতার করা হয়েছে সায়নীকে। ত্রিপুরার বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছি। স্মারকলিপিও জমা দেওয়া হয়েছে। রিপোর্ট তলব করা হয়েছে ত্রিপুরা সরকারের কাছে।"
ঠিক কী অপরাধে সায়নীকে গ্রেফতার করা হয়? জানা যায়, সায়নী খুনের চেষ্টা করেছিলেন। ঠিক কী ঘটেছিল কাল? খবর, মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবের সভার পাশ দিয়ে জোরে গাড়ি চালিয়ে যাচ্ছিলেন সায়নী। সেই সময় এক পথচারীকে ধাক্কা দেয় সায়নীর গাড়ি। এছাড়াও অভিযোগ, ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রীকে নিয়েও নানান কুরুচিপূর্ণ কথা বলেছেন সায়নী।