এবার কেন্দ্রের কাছে টিকাকরণ সংক্রান্ত পরবর্তী পরিস্থিতি নিয়ে বিশদ তথ্য জানতে চাইল কলকাতা হাইকোর্ট। খবর, এক টিকাকরণ সম্পর্কে দায়ের হওয়া এক মামলায় দাবি করা হয়েছে, ১৮ থেকে ৪৪ বছর বয়সীদের টিকাদানে খামতি থেকে যাচ্ছে। এমনকী, গ্রামাঞ্চলে টেলিমেডিসিন পরিষেবাও সঠিকভাবে মিলছে না সহ নানান বিষয় নিয়ে দায়ের হওয়া মামলায় বুধবার এমনটাই জানিয়েছে কেন্দ্র সরকার।
যদিও এরপর এদিন কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে, "করোনার ভ্যাকসিন নেওয়ার পর টিকাপ্রাপকদের শারীরিক পরিস্থিতি সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য জানার জন্য পর্যাপ্ত পরিকাঠামো এই মুহূর্তে নেই।" তবে সওয়ালে অতিরিক্ত সলিসিটর দাবি করেছেন, এই তথ্য পেতে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পক্ষ থেকে সমস্ত রাজ্যকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গে ভ্যাকসিনের দুটি ডোজ পেয়েছেন ১ কোটির বেশি মানুষ।
অন্যদিকে, ফের ক্ষুব্ধ সুপ্রিম কোর্ট। সাংসদ ও বিধায়কদের বিরুদ্ধে দায়ের মামলায় CBI এবং ED-এর ধীরগতির চলা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করল শীর্ষ আদালত। প্রধান বিচারপতি এন ভি রামানা, বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় এবং বিচারপতি সূর্যকান্তের বেঞ্চের মন্তব্য, "১০-১৫ বছর পরেও অনেক মামলার চার্জশিট ফাইল করা হয়নি, আর তার জন্য কোনও কারণও দেখানো হয়নি, এটা দুঃখজনক!" এছাড়াও হাইকোর্টের নির্দেশ ছাড়া বিধায়ক-সাংসদদের নিয়ে চলা মামলা তুলতে পারবে না কোনও রাজ্য। সাফ বক্তব্য হাইকোর্টের। মামলা তুলতে হলে হাইকোর্টের অনুমতি লাগবে।
প্রধান বিচারপতি বলেন, "দুরভিসন্ধিমূলক মামলা তুলে নেওয়ার বিরুদ্ধে আমরা নই। কিন্তু আদালতকে তা খতিয়ে দেখতে হবে। হাইকোর্ট মামলা পরীক্ষা করে দেখে যদি সম্মতি দেয়, মামলা তুলে নেওয়া যাবে। তবে বিধায়ক-সাংসদদের বিরুদ্ধে জমে থাকা মামলার দ্রুত বিচারের প্রয়োজনীয়তার কথা বলা হয়েছে ঠিকই। কিন্তু তার মানে এই নয় যে, অন্যান্য মামলা টপকে গিয়ে হাইকোর্টকে আগে এই জাতীয় মামলা শুনতে হবে।"