সিনেমার পর্দায় তিনি ভিলেন, তবে বাস্তবে সাধারণ মানুষের কাছে তিনি স্বপ্নের নায়ক, গরিবের মসিহা। তিনি সোনু সুদ (Sonu Sood)। করোনাকালে পরিযায়ী শ্রমিকদের পাশে দাঁড়ানো হোক কিংবা রাশিয়া-ইউক্রেন সংকটের সময় ভারতীয় মেডিক্যাল পড়ুয়াদের দেশে ফেরানোর উদ্যোগে সবার আগেই যিনি এগিয়ে গেছেন, তিনি সোনু সুদ।
বিহারের ছোট্ট একটি গ্রাম। সেখানেই চারটে হাত চারটে পা নিয়ে জন্ম নিয়েছিল চাহুমুখী। গরিব বাবা-মায়ের সামর্থ্য ছিল না ছোট্ট মেয়ের অপারেশন করে অতিরিক্ত হাত-পা বাদ দিক। কোনভাবে সোশ্যাল মিডিয়াতে ভাইরাল হয়েছিল সেই ছবি। নজরে আসে সোনু সুদের। তিনি ছোট্ট মেয়েটির এই করুণ অবস্থা দেখে চুপ থাকতে পারেননি। এগিয়ে গিয়েছেন, হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন চাহুমুখীর দিকে। চাহুমুখীর সফল অস্ত্রোপচার হয়েছে। শীঘ্রই চাহুমুখী হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাবে।
সোশ্যাল হ্যান্ডেলে সোনু সুদ নিজেই ভাগ করে নিয়েছেন সেই আনন্দঘন মুহূর্তের ছবি। চাহুমুখীর অপারেশন শেষ হয়েছে। সে এখন সম্পূর্ণ সুস্থ। শীঘ্রই সে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাবে। সোনু সুদ নিজেই বলেছেন, আমার আর চাহুমুখীর সফর শেষ হল। সে এখন বাড়ি যাওয়ার জন্য তৈরি।
উল্লেখ্য, দিন কয়েক আগেই বিহারের (Bihar) বছর দশেকের ছোট্ট মেয়ে সীমার কথা। বছর দুয়েক আগে এক দুর্ঘটনায় সে তার বাঁ পা-টা হারিয়েছিল। কিন্তু থামায় নি স্কুলে যাওয়ার লড়াই। এক পায়ে ভর করে লাফাতে লাফাতে স্কুলে যাওয়ার জেদ কেউ তাকে রুখে দিতে পারেনি। কে বা কারা সীমার সেই এক পায়ে লাফিয়ে স্কুলে যাওয়ার ভিডিও ভাইরাল করে দেয়। অভিনেতা সোনু সুদের চোখে পড়ে যায়। আর সোমা এখন দু'পায়ে স্কুলে যাচ্ছে। কেবল চাহুমুখী, সীমা নয়, আরও কত মানুষের পাশে থেকেছেন অভিনেতা সোনু সুদ তার ইয়ত্তা নেই। তিনি তো গরিবের মসিহা। তাঁদের পাশেই থাকতে চান বারবার।