পুনের সিরাম ইন্সটিটিউট ও আমেরিকার নোভাভ্যাক্সের যৌথ উদ্যোগে তৈরি হচ্ছে করোনা ভ্যাকসিন কোভোভ্যাক্স। এবার সাত থেকে এগারো বছর বয়সী শিশুদের ওপরও পরীক্ষামূলকভাবে প্রয়োগ করা হবে এই টিকা, এমনটাই ছাড়পত্র দিল সেন্ট্রাল ড্রাগস স্ট্যান্ডার্ড কন্ট্রোল অর্গানাইজেশন (সিডিএসসিও)।
এর আগেই বারো থেকে সতেরো বছর বয়সী কিশোর কিশোরীদের ওপর এই কোভোভ্যাক্স পরীক্ষামূলকভাবে প্রয়োগ করা হয়েছিল। প্রথম ১০০ জনকে নিয়ে করা এই ট্রায়ালে নিরাপত্তার বিষয়টি নিশ্চিত করে নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষের কাছে একটি রিপোর্টও জমা দেওয়া হয়েছে। এবারে দ্বিতীয় দফায় সাত থেকে এগারো বছর বয়সীদের ওপর প্রয়োগ করার পালা।
তবে এই দেশে এখনও পর্যন্ত কোভোভ্যাক্সের টিকাদান শুরু হয়নি। তবে আগামী বছরের শুরুতেই এর ছাড়পত্র পাওয়া যাবে এবং তখন বাজারেও চলে আসবে এই কোভোভ্যাক্স, আশাবাদী সিরাম কর্তৃপক্ষ। অন্যদিকে কোভ্যাক্সিন নিয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ খবর উঠে এসেছে। জানা যাচ্ছে, বিশ্বব্যাপী জরুরি ভিত্তিতে ব্যবহারের অনুমতি দেওয়ার বিষয়টি গত কালই পিছিয়ে দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। ভারত বায়োটেকের থেকে আরও কিছু তথ্য চেয়েছে তারা, যেগুলো না পেলে এই অনুমোদন দেওয়া যাবেনা।
ভারত বায়োটেকের পক্ষ থেকে এই সম্পর্কে বলা হয়েছে, অতীতে তাদের অন্যান্য বহু প্রতিষেধক বিনা বাধায় ছাড়পত্র পেয়েছে। হু-কে কটাক্ষ করে ভারত বায়োটেক আরও জানায়, "দায়িত্বশীল প্রতিষেধক উৎপাদক সংস্থা হিসেবে আমরা মনে করি, ছাড়পত্র দেওয়ার নিয়মমাফিক প্রক্রিয়া বা তার সময়সীমার বিষয়ে আগে থেকে কোনও আন্দাজ বা মন্তব্য করা অনুচিত।" যত দ্রুত সম্ভব জরুরি ভিত্তিতে ছাড়পত্র অর্জনের বিষয়টি নিয়ে তারা হু-র সঙ্গে কাজ করছেন। সংবাদমাধ্যমের কাছেও তারা সংযত থাকতে অনুরোধ করেন। সময়মত সব জানানো হবে, সাফ জবাব ভারত বায়োটেকের।