খাতায়-কলমে ভারতের মধ্যে গুজরাট (Gujrat) রাজ্যটি ড্রাই স্টেট (Dry State)। এখানে মদ কেনাবেচা এবং সরবরাহ অবৈধ। তবে সম্প্রতি রাজ্যসভায় একটি পরিসংখ্যান পেশ করা হয়েছে যা শুনলে আপনিও অবাক হয়ে যাবেন। সোশ্যাল জাস্টিস এবং এম্পাওয়ার্মেন্ট সংস্থার প্রধান এ নারায়ণস্বামী ২০১৯ সালে একটি সার্ভে করেছিলেন। সেই সার্ভে অনুযায়ী গুজরাটের মোট প্রাপ্তবয়স্ক জনসংখ্যার ৪.৩ শতাংশ মানুষ মাদকাসক্ত। হিসেব অনুযায়ী বর্তমানে শুধুমাত্র গুজরাট রাজ্যের ১৯.৫৩ লাখ মানুষ মদ্যপান করেন। এখানেই প্রশ্ন উঠছে যে ড্রাই স্টেট হওয়া সত্ত্বেও এত পরিমাণ মানুষ কি করে মদের জোগান পায়? জানা গিয়েছে, রাজস্থানে মোট জনসংখ্যার ২.৩ শতাংশ মাদকাসক্ত। বিহারে এই পরিসংখ্যান মাত্র ১ শতাংশ।
এছাড়াও পরিসংখ্যান মাধ্যমে জানা গিয়েছে মদ্যপান ছাড়াও গুজরাটে বিভিন্ন ধরনের মাদকের নেশা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। রাজ্যের মোট জনসংখ্যার ১.৪৬ শতাংশ অর্থাৎ প্রায় ৬.৬৪ লাখ মানুষ আফিমের নেশা এবং ০.৮ শতাংশ অর্থাৎ প্রায় ৩.৬৪ লাখ মানুষ গাঁজার নেশা করে। এই সার্ভেতে ধূমপান এবং অন্যান্য টোবাকো জাতীয় নেশা ধরা হয়নি। স্থানীয় বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন যে করোনা সংক্রমণের কারণে লকডাউন হওয়ার জন্য রাজ্যের সমস্ত মানুষ গৃহবন্দি হয়ে পড়েছিল। আর তারপরই উল্লেখযোগ্যভাবে মাদকাসক্তির মাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে। বিভিন্ন নেশা মুক্তিকরণ কেন্দ্রের পরিসংখ্যান অনুযায়ী জানা গিয়েছে ২০১৯-২০ সালের তুলনায় ২০২০-২১ এ মাদকসক্তির পরিমাণ অনেকটাই বেড়েছে। গুজরাটের সরকারি হাসপাতালে মনচিকিৎসক এই প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, "গৃহবন্দি দশায় নিঃসঙ্গতা ও অবসাদগ্রস্ত হওয়ায় মানুষ বেশি পরিমাণে মদ্যপান করার প্রবণতা দেখিয়েছে।"