একেই ‘হিজাব’কে কেন্দ্র করে বিতর্কের অন্ত নেই। তার উপর হিজাব না পরাকে ‘ধর্ষণের কারন’ হিসাবে দর্শীয়ে বিতর্কের আগুনে ঘি ঢাললেন কর্ণাটকের (Karnataka) এক কংগ্রেস (Congress) নেতা।
বক্তা, জমির আহমেদ। তিনি কর্ণাটকের কংগ্রেস নেতা এবং চামরাজপেট বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক। রবিবার কর্ণাটকের হুবলিতে সর্বভারতীয় সংবাদ সংস্থা এএনআই, ‘হিজাব বিতর্ক’ নিয়ে তাঁকে প্রশ্ন করলে উত্তরে জমির আহমেদ বলেন, “ইসলাম অনুযায়ী হিজাবের অর্থ হল পর্দা। যাঁদের ঘরে মহিলা-কন্যাসন্তান নেই, তাঁরাই এর মানে জানেন না। যদি তাঁদের ঘরে মহিলা বা কন্যাসন্তান থাকত, তাহলে তাঁরা এর অর্থ বুঝতেন। ঘরের মেয়েরা বড় হলে তাঁদের সৌন্দর্য ঢেকে রাখার জন্য হিজাব পরানো হয়”। এরপর তিনি বলেন, “ভারতে ধর্ষণের হার সবথেকে বেশি। তার কারন, অনেক মহিলাই হিজাব পরেন না। হিজাব পরেন না বলেই ধর্ষিতা হন মহিলারা”। কংগ্রেস বিধায়কের কথায়, “হিজাব পরা বাধ্যতামূলক নয়। যারা নিজেদের রক্ষা করতে চান, তাঁরা হিজাব পরেন। যে মহিলারা নিজের সৌন্দর্য দেখাতে চান না, তাঁরা হিজাব পরেন। এটা অনেক পুরনো রেওয়াজ”।
এমনিতেই হিজাব বিতর্ক (Hijab controversy) নিয়ে উত্তাল হয়েছে দেশের রাজনীতি। ক্লাসরুমে হিজাবের বিরোধিতায় গেরুয়া শাল, দোপাট্টা পরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে হাজির হয়েছে হিন্দুত্ববাদী ছাত্র-ছাত্রীরা। কর্ণাটক থেকে শুরু হওয়া বিতর্ক পৌঁছেছে বাংলা-সহ দেশের অন্যান্য রাজ্যেও। এমনকি বিতর্ককে কেন্দ্র করে মামলা গড়িয়েছে সুপ্রিম কোর্ট অবধি। সম্প্রতি হিজাব মামলায় কর্ণাটক হাইকোর্টের ফুলবেঞ্চ রায় দেয়, যে সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নির্ধারিত ড্রেস কোড রয়েছে, সেখানে হিজাব, গেরুয়া-সহ কোনও ধর্মকে ইঙ্গিত দেয়, এমন পোশাক পরে আসা যাবে না।