হনুমান জয়ন্তী উপলক্ষে দেশবাসীকে বড় উপহার দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)। গুজরাটের (Gujarat) মোরবিতে উদ্বোধন করলেন ১০৮ ফুট দীর্ঘ হনুমান মূর্তি। হনুমানজি চারধাম প্রকল্পের আওতাধীন এই মূর্তিই হল এই প্রকল্পের দ্বিতীয় মূর্তি। এর আগে সিমলায় তৈরি হয়েছে প্রথম মূর্তি।
এদিন ভার্চুয়াল মাধ্যমেই শ্রীমোদী এই মূর্তি উন্মোচন করেন। তিনি বলেন, "আমরা সিমলায় একই রকম একটি হনুমান মূর্তি দেখছি। দ্বিতীয়টি আজ মরবিতে প্রতিষ্ঠিত হল। আমাকে বলা হয়েছে রামেশ্বরম এবং পশ্চিমবঙ্গে আরও এমন দুটি মূর্তি স্থাপন করা হবে।" এদিন তিনি আরও যোগ করে বলেন, "এটি শুধু হনুমানজির মূর্তি স্থাপনের প্রস্তাব নয়, এটি 'এক ভারত শ্রেষ্ঠ ভারত'-এর প্রস্তাবের একটি অংশও বটে।"
উল্লেখ্য, হনুমানজি চারধাম প্রজেক্টের আওতায় গোটা দেশের চার জায়গায় চারটি সুউচ্চ হনুমান মূর্তি স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই সিমলায় একটি মূর্তি তৈরি হয়েছে। দ্বিতীয় মূর্তিটি গুজরাতের মোরবিতে আজ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর হাত ধরেই উন্মোচিত হল। দক্ষিণ ভারতের রামেশ্বরম-এ তৃতীয় মূর্তি তৈরির কাজ জোরদমে চলছে। আগামী বছরের মধ্যেই সেই মূর্তির কাজ শেষ হতে পারে বলে সূত্রের খবর। অন্যদিকে চতুর্থ মূর্তিটি কোথায় হবে তা নিয়ে ধোঁয়াশা ছিলই। তবে এদিন প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা চতুর্থ মূর্তিটি পশ্চিমবঙ্গে তৈরি হবে।
গুজরাতের মোরবিতে ১০৮ ফুটের এই সুউচ্চ হনুমান মূর্তি তৈরি করতে ১০ কোটি মতো অর্থ ব্যয় হয়েছে। হনুমানজি ভারতীয় ঐতিহ্যের সঙ্গে কতটা সম্পৃক্ত এদিনের মোদীর ভাষণে তা উঠে এসেছে। তিনি বলেছেন, হনুমানজি চারধাম প্রকল্পের অংশ হিসাবে সারা দেশে ৪টি অঞ্চলে স্থাপিত হবে ৪টি মূর্তি। এর মধ্যে এই মূর্তিটি দ্বিতীয়। মোদী আরও বলেন, "দেশের বিভিন্ন স্থানে রামকথা আলোচনা হয়। ভাষা-উপভাষা যাই হোক, রামকথার চেতনা কিন্তু সবাইকে এক করে, ভগবান ভক্তিতে একীভূত করে তোলে। এটি ভারতীয় বিশ্বাসের, আমাদের আধ্যাত্মিকতার, আমাদের সংস্কৃতির, আমাদের ঐতিহ্যের শক্তি তো বটেই।"