বিজেপির প্রাক্তন মুখপাত্র নূপুর শর্মার একটি মন্তব্য ঘিরে উত্তাল গোটা বিশ্বের রাজনীতি। ভারতকে কোণঠাসা করতে উঠে পড়ে লেগেছে মুসলিমশাসিত দেশগুলি। যদিও নূপুর শর্মা দেশের কোন প্রতিনিধি নন, বরং একটি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি মাত্র। একজন রাজনৈতিক নেতৃত্বের বক্তব্য কখনোই দেশের সামগ্রিক চেতনার পদবাচ্য হতে পারে না। তবে এই বিতর্কিত মন্তব্য গোটা দেশকেই যে একটা বড় সংকটের মুখে ঠেলে দিয়েছে বলাই বাহুল্য।
ইতিমধ্যেই পৃথিবীর বেশ কয়েকটি দেশ এই মন্তব্যের ঘোর সমালোচনা করেছে। সেই দেশগুলিতে থাকা রাষ্ট্রীয় দূতদের তলব করে এমন মন্তব্যের ব্যাখ্যা চেয়েছে। আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে ভারতকে কোণঠাসা করতে পশ্চিমী দুনিয়ার কয়েকটি দেশ কূটনৈতিক সাফল্য খুঁজছে। ভারত তার স্পষ্ট অবস্থান জানিয়ে দিয়েছে। এরমধ্যেই দেশে নতুন করে আতঙ্ক তৈরি হল আল-কায়দার চিঠি।
পয়গম্বর বিতর্কে নতুন মাত্রা যুক্ত হল এই আল-কায়দার চিঠি। এমন উড়ো চিঠিতে স্পষ্ট বলা হয়েছে রাজধানী দিল্লি-সহ দেশের চারটি গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় আল-কায়দা চালাতে পারে আত্মঘাতী হামলা। তালিকায় মুম্বই, উত্তরপ্রদেশ, গুজরাট। দেশের কাছে অনেক বড় চ্যালেঞ্জ তো বটেই। আল-কায়দার তরফে এমন হুমকি চিঠি নিয়ে গোয়েন্দামহল ইতিমধ্যেই সতর্ক অবস্থান নিয়েছেন।
পয়গম্বরকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে ইতিমধ্যেই নূপুর শর্মাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। সঙ্গে আরও একজনকেও। ভারতের তরফে স্পষ্ট জানানো হয়েছে, ভারত এ ধরণের মন্তব্য কখনোই সমর্থন করে না। ভারতের ঐতিহ্যগত ধারণায় এমন ধারার মন্তব্য কখনোই গ্রহণযোগ্যতা পায় না। কিন্তু যতই 'ড্যামেজ কন্ট্রোলের' চেষ্টা হোক, বিশ্বের কয়েকটি দেশ এই বিষয়টি নিয়ে ঘোলা জলে মাছ ধরতে শুরু করে দিয়েছে। আর তার মধ্যেই নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন আল-কায়দার এমন হুমকি চিঠি গোটা দেশের কাছে চিন্তার বিষয় তো বটেই!