বিবাহিতা মহিলাকে গণধর্ষণ করার অপরাধে ১০ জনকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ, যার মধ্যে ২ জন নাবালকও ছিল। এই ঘটনাটি ঘটেছে মুজাফফরনগর এলাকায়। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় স্বামীর সাথে শ্বশুরবাড়ি ফিরছিলেন ২৩ বছর বয়সী নববধূ। সেইসময় একদল ছেলেরা তাঁদের উপর হামলা করে। স্বামীকে মারধর করে মহিলাকে ছিনিয়ে নিয়ে যায় এবং গনধর্ষণ করে ১০ জন মিলে।
পুলিশ সুত্রে জানা গিয়েছে, বধূটির স্বামী গাজিয়াবাদে শ্রমিকের কাজ করেন। মঙ্গলবার সকালে ওই দম্পতি এবং তাঁদের মেয়ে মুজাফফরনগরে ওই ব্যক্তির পৈতৃক বাড়িতে দেখা করতে গিয়েছিলেন। সেখানে কিছুক্ষণ থাকার পর, দম্পতি সামান্য দূরত্বে অবস্থিত মহিলাটির বাপের বাড়ির জন্য রওনা দেন। কিন্তু মেয়েটিকে ওই ব্যক্তির পৈতৃক বাড়িতে রেখে যান। সন্ধ্যাবেলায় স্বামীর কাছে ফোন আসে যে ওই দম্পতির মেয়ে ক্রমাগত কাঁদছে। দম্পতি তাদের মেয়ের সাথে দেখা করার জন্য একটি ট্যাক্সি ভাড়া করেন। কিন্তু কিছু দূর যাওয়ার পর ট্যাক্সিচালক যেতে আর রাজী হননি কারণ রাস্তায় ভাঙাচোরা জিনিসপত্র ছড়িয়ে ছিল। ভাড়া মিটিয়ে ট্যাক্সি ছেড়ে হাঁটতে শুরু করেন ওই দম্পতি।
দম্পত্তির অভিযোগ, হাঁটার সময় একদল লোক মোটরসাইকেলে করে এসে তাঁদের দুইজনকে কাছের একটি মাঠে টেনে নিয়ে যায় এবং দুজনকে মারধর করে এবং স্বামীর উপস্থিতিতে ওই নারীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে চারজনের উপর। পরে আসামিরা মোটরসাইকেলে করে সেখান থেকে চম্পট দেয়। বাড়ি ফিরে দম্পতি তাদের পরিবারকে ঘটনাটি জানায় এবং পরের দিন তাঁরা থানায় পৌঁছে একটি মামলা দায়ের করে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, "তথ্যের ভিত্তিতে আমরা ১০ জনকে গ্রেপ্তার করেছি এবং ওই মহিলা ও তাঁর স্বামী সবাইকে শনাক্ত করেছেন। গ্রেফতার করা মানুষদের মধ্যে আটজন প্রাপ্তবয়স্ক এবং তাদের আদালতে হাজির করা হলে তাদের বিচারবিভাগীয় হেফাজতে পাঠানো হয়। অন্য ২ নাবালকের জন্য নাবালকদের জুভেনাইল জাস্টিস বোর্ডের সামনে হাজির করা হয়েছিল। এবং তারা তাদের একটি সংশোধনাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।" উল্লেখ্য, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে জাতীয় নিরাপত্তা আইন চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুলিশ।