পৈতৃক চাষের জমি বেচে ৩৯ লক্ষ টাকা পেয়েছিলেন এক ব্যক্তি। পুরো টাকাটাই সাদা মনে জমা করে দিয়েছিলেন স্ত্রীর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে। কিন্তু দিনকয়েক গড়াতে না গড়াতেই টাকা গায়েব। টাকার সাথে গায়েব ব্যক্তির স্ত্রীও। পুরো কাহিনী পি সি সরকারের ম্যাজিকের মতো শোনালেও বাস্তবে ঘটনার সাক্ষী বিহারের ব্রজকিশোর সিং। তবে যাওয়ার সময় ভদ্রলোকের স্ত্রী সমস্ত টাকা নিয়ে যাননি। দক্ষিনা হিসাবে রেখে গেছেন ১১ টাকা।
সূত্রের খবর, ১৪ বছর আগে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন মুঙ্গের জেলার কাউরিয়ার ব্রজকিশোর সিং এবং ভোজপুরের বিন্দ গ্রামের প্রভাবতী। তাঁরা বর্তমানে এক মেয়ে এবং এক ছেলের বাবা-মা। ব্রজকিশোরের নিজস্ব খামার ছিল। সেখানেই অল্পস্বল্প চাষাবাদ, পশুপালন করতেন তিনি। কিন্তু সম্প্রতি অন্য পেশায় যুক্ত হয়ে গুজরাটে কাজ করতে যান তিনি। শেষমেশ স্ত্রীকে ফেলে রেখে ভিনরাজ্যে যাওয়াই কাল হল ব্রজকিশোরের।
গুজরাটে গিয়েও তাঁর পরিবারের প্রতি দেখভালে কোনও খামতি ছিল না। সেখান থেকেই স্ত্রীর অ্যাকাউন্টে মাসকাবারি টাকা পাঠাতেন। তবে স্বামী গুজরাটে থাকাকালীনই পাড়ার এক যুবকের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি হয় প্রভাবতীর। কিছুদিন আগেই গুজরাট থেকে নিজের বাড়ি ফেরেন তিনি। চাষবাস ছেড়ে দেওয়া ব্রজকিশোর ৩৯ লক্ষ টাকার বিনিময়ে বেচে দেন চাষের জমি, খামার। পুরো টাকাটাই স্ত্রীর অ্যাকাউন্টে জমা করে ফিরে যান গুজরাটে। তারপরেই প্রতিবেশী যুবকের সাথে ‘হাওয়া’ প্রভাবতী।
‘বউ পালানো’র ঘটনা জানতে পারার পর ব্রজকিশোরের নজর যায় স্ত্রীর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে। দেখেন, যাওয়ার আগে ব্যাঙ্ক থেকে ১৩ লক্ষ টাকা তুলে নিয়ে গেছেন প্রভাবতী। শুধু তাই নয়, বাকি ২৬ লক্ষ টাকাও ট্রান্সফার করা হয়েছে দেহরির এক ব্যক্তির অ্যাকাউন্টে। পড়ে আছে সর্বসাকুল্যে ১১ টাকা।
ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই হতভম্ভ ব্রজকিশোর। তাঁর কথায়, ঐ টাকা দিয়ে গুজরাটে ফ্ল্যাট কেনার স্বপ্ন দেখেছিলেন। কিন্তু নিজের ১৪ বছরের বিবাহিতা স্ত্রী যে এমন কাণ্ড করবে তা স্বপ্নেও কল্পনা করতে পারেননি তিনি। পাশাপাশি স্ত্রীর অবৈধ সম্পর্কের বিষয়েও ওয়াকিবহাল ছিলেন না বলেই জানিয়েছেন ব্রজকিশোর। ইতিমধ্যেই স্থানীয় থানায় অভিযোগ জানিয়েছেন তিনি। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।