যে সব রাজ্যে বিজেপি বিরোধী অবস্থানে রয়েছে, সে সব জায়গায় দলের নেতাদের মুখে গণতন্ত্র ও পুলিশ-প্রশাসনের নিরপেক্ষতা রক্ষার কথা প্রায়ই শোনা যায়। সরকারে এলে 'রামরাজ্য' গড়ার ঢালাও প্রতিশ্রুতি বিলি করেন তাঁরা। কিন্তু যেখানে সরকারে রয়েছে তাঁদের দল? সেখানে কিন্তু ঠিক উল্টো ছবি।
এমনটাই দেখা গেল মধ্যপ্রদেশের ইন্দোরে। বিজেপি শাসিত এই রাজ্যের পুলিশ সম্প্রতি গ্রেপ্তার করেছে ইন্দোর পৌরসভার প্রাক্তন সদস্য উসমান প্যাটেলকে। অভিযোগ- 30 আগস্ট পুলিশের অনুমতি ছাড়াই তিনি মহরমের একটি মিছিলে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন।
এই ইন্দোরেরই বিজেপি বিধায়ক নন্দননগর এলাকায় গণেশ চতুর্থী উপলক্ষে 10 দিন ধরে বিরাট উৎসবের আয়োজন করেছিলেন। করোনা পরিস্থিতিতে প্রশাসনের জারি করা সমস্ত নিয়মকানুনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে তিনি রীতিমতো প্যান্ডেল খাটিয়ে পূজোর নানা অনুষ্ঠান করেছেন, জমায়েত করে লোকজনকে খাইয়েছেন। গ্রেপ্তারি দূরে থাক, চোখের সামনে এভাবে আইন ভাঙার ঘটনা ঘটলেও শাসক দলের এই বিধায়ককে নিবৃত্ত করতে পুলিশকে সামান্য সক্রিয় হতেও দেখা যায়নি।
খবরে প্রকাশ, উসমান প্যাটেলকে একা নয়, ইন্দোর পুলিশ 28 জনকে মহরমের মিছিলে অংশ নেবার অপরাধে গ্রেপ্তার করেছে, যাঁদের মধ্যে 5 জনের বিরুদ্ধে কুখ্যাত জাতীয় সুরক্ষা আইনে অভিযোগ আনা হয়েছে। অথচ আশ্চর্যজনক ভাবে বিজেপি বিধায়কের আয়োজিত জমায়েতের বিরুদ্ধে প্রশাসনের মুখে টুঁ-শব্দটি নেই!
উসমান প্যাটেল আগে বিজেপি করতেন। গত ফেব্রুয়ারিতে কেন্দ্রীয় সরকারের আনা সিএএ নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে দল ছাড়েন তিনি। তাঁর ছেলে বলেছেন, উসমানের এই গ্রেফতারির পিছনে মধ্যপ্রদেশের বিজেপি নেতা- মন্ত্রীদের প্রতিহিংসার মনোভাব কাজ করেছে। ইন্দোর ডিভিশনের ডিআইজি হরিনারায়ণ মিশ্র বলেছেন, মিছিলে পুলিশের নিষেধাজ্ঞা উঠে গেছে বলে 30 আগস্ট হোয়াটসঅ্যাপে আসা একটি মেসেজ দেখে মহরমের মিছিলে রাস্তায় নামে মানুষ। কারা এই মেসেজ পাঠালো, উদ্দেশ্যমূলক ভাবে এটি ছড়ানো হয়েছিল কি না-- এ সব প্রশ্ন তুলেছেন স্বয়ং ডিআইজি সাহেবই।
বিরোধী অবস্থানে যেসব নীতিবাক্যের খই ফোটে নেতাদের মুখে, সরকারে বসলেই সেগুলো যে স্রেফ 'কথার কথা' হয়ে যায়, সেটাই কি দেখিয়ে দিল না শিবরাজ সিং চৌহানের নেতৃত্বাধীন মধ্যপ্রদেশের বিজেপি সরকার? ইন্দোরে। বিজেপি শাসিত এই রাজ্যের পুলিশ সম্প্রতি গ্রেপ্তার করেছে ইন্দোর পৌরসভার প্রাক্তন সদস্য উসমান প্যাটেলকে। অভিযোগ- 30 আগস্ট পুলিশের অনুমতি ছাড়াই তিনি মহরমের একটি মিছিলে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন।
এই ইন্দোরেরই বিজেপি বিধায়ক নন্দননগর এলাকায় গণেশ চতুর্থী উপলক্ষে 10 দিন ধরে বিরাট উৎসবের আয়োজন করেছিলেন। করোনা পরিস্থিতিতে প্রশাসনের জারি করা সমস্ত নিয়মকানুনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে তিনি রীতিমতো প্যান্ডেল খাটিয়ে পূজোর নানা অনুষ্ঠান করেছেন, জমায়েত করে লোকজনকে খাইয়েছেন। গ্রেপ্তারি দূরে থাক, চোখের সামনে এভাবে আইন ভাঙার ঘটনা ঘটলেও শাসক দলের এই বিধায়ককে নিবৃত্ত করতে পুলিশকে সামান্য সক্রিয় হতেও দেখা যায়নি।
খবরে প্রকাশ, উসমান প্যাটেলকে একা নয়, ইন্দোর পুলিশ 28 জনকে মহরমের মিছিলে অংশ নেবার অপরাধে গ্রেপ্তার করেছে, যাঁদের মধ্যে 5 জনের বিরুদ্ধে কুখ্যাত জাতীয় সুরক্ষা আইনে অভিযোগ আনা হয়েছে। অথচ আশ্চর্যজনক ভাবে বিজেপি বিধায়কের আয়োজিত জমায়েতের বিরুদ্ধে প্রশাসনের মুখে টুঁ-শব্দটি নেই!
উসমান প্যাটেল আগে বিজেপি করতেন। গত ফেব্রুয়ারিতে কেন্দ্রীয় সরকারের আনা সিএএ নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে দল ছাড়েন তিনি। তাঁর ছেলে বলেছেন, উসমানের এই গ্রেফতারির পিছনে মধ্যপ্রদেশের বিজেপি নেতা- মন্ত্রীদের প্রতিহিংসার মনোভাব কাজ করেছে। ইন্দোর ডিভিশনের ডিআইজি হরিনারায়ণ মিশ্র বলেছেন, মিছিলে পুলিশের নিষেধাজ্ঞা উঠে গেছে বলে 30 আগস্ট হোয়াটসঅ্যাপে আসা একটি মেসেজ দেখে মহরমের মিছিলে রাস্তায় নামে মানুষ। কারা এই মেসেজ পাঠালো, উদ্দেশ্যমূলক ভাবে এটি ছড়ানো হয়েছিল কি না-- এ সব প্রশ্ন তুলেছেন স্বয়ং ডিআইজি সাহেবই।
বিরোধী অবস্থানে যেসব নীতিবাক্যের খই ফোটে নেতাদের মুখে, সরকারে বসলেই সেগুলো যে স্রেফ 'কথার কথা' হয়ে যায়, সেটাই কি দেখিয়ে দিল না শিবরাজ সিং চৌহানের নেতৃত্বাধীন মধ্যপ্রদেশের বিজেপি সরকার?